টাক্সগুয়ার হাওরে পরিযায়ী পাখির সাথে মারা যাচ্ছে খামারীদের হাঁস

তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ-
তাহিরপুরে টাক্সগুয়ার হাওরে বিষ দিয়ে পরীযায়ী পাখি শিকারের ফাঁদে মারা যাচ্ছে খামারীদের শত শত হাঁস। টাক্সগুয়া হাওরে বিলগুলোর পানি কমে যাওয়ায় পাখি শিকারীরা বিলগুলোতে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় বিষ ছিটিয়ে রাখে। রাতের অন্ধকারে বিলে খাদ্যের সন্ধানে আসা পরিযায়ী পাখিরা বিষ যুক্ত খাবার খেয়ে মারা যায়। অপর দিকে দিনের বেলা বিলের সেই বিষযুক্ত খাবার খেয়ে মারা যাচ্ছে খামারীদের শত শত হাঁস। প্রতিবছর এমন সময় বিলে বিষ ছিটিয়ে পরীযায়ী পাখি শিকার করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে বলেও জানা গেছে।খামারীরা জানান, দিনের বেলা খাবার খাওয়াতে হাঁসগুলোকে এই বিলে নিয়ে যায়। খাবার খেয়ে বাড়ি ফিরলে হাঁস গুনে দেখে প্রায় অর্ধেক হাঁস বাড়িতে এসেছে বলে জানিয়েছেন তারা। টাক্সগুয়া হাওরপাড়ের ছিরিয়ারগাঁও গ্রামের হাঁসের খামারী নূর আলম জানান, তাহার খামারে ৬শ হাঁস ছিল। গত বুধবার সকালে হাঁসগুলোকে হাওরের বিলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর হাঁস মরতে মরতে তাহার এখন ২শ হাঁস রয়েছে। যেগুলো রয়েছে সেগুলোও এখন মৃত্যু পথযাত্রী। গোলাবাড়ি গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক খসরুল আলম জানান, হাওরে পাখি শিকারীদের এমন কৌশল মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে খামারীরা ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা আগে পাখি শিকার করতো ফাঁদ পেতে। এখন বিষ দিয়ে পাখি মারছে। যাহা পরিবেশের জন্যও মারাত্মক হুমকি। হাওর, নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন বাংলাদেশ এর আহবায়ক মিজানুর রহমান রাসেল বলেন, পাখি শিকারের কারনে টাক্সগুয়ার হাওরে পরিযায়ী পাখি আসা কমেগেছে। হাওরের বিষ প্রয়োগ করে পাখি শিকার করার ফাঁদে হাঁস মারা যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। এতে শুধু পরিযায়ী পাখিই নয় গৃহপালিত পশু, পাখি সহ পরিবেশ হুমকির মূখে রয়েছে। প্রশাসনের কাছে পাখি শিকারিদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন, বিষ দিয়ে পাখি মারা গুরুতর অন্যায় কাজ। যারা এ কাজটি করছে তাদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ