তাহিরপুর প্রতিনিধি ঃ-
উধলা আছিন ঘর, ছাইয়া নষ্ট কর। এর প্রতিফলন ঘটেছে তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরের গুংগাজুরী খালে। সরকারি অর্থায়নে ব্রীজ নির্মাণ হলেও ? সংযোগ সড়ক না থাকায় এ -সড়ক বিছিন্ন রয়েছে । এতে জনদুর্ভোগ চরমে দাঁড়িয়েছে। যখন ভাঙা ব্রীজ ছিল , বাঁশের পাটাতনে, কৃষি পূর্ণ নিয়ে যেতে পারতো ,এপার থেকে ওপারে। এখন, নৌকা ছাড়া যাওয়া না, অন্যথায় সাঁতার দিতে হয় জলে। দুর্গতি বেড়েছে চরমে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাটিয়ান হাওরের পাদদেশে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম- এ রাস্তাটি। যেখানে চাষাবাদ করা হয়, হাজার হাজার একর জমি। উৎপাদন হয় লক্ষ লক্ষ টন ধান। এসব, রোপণ থেকে শুরু করে, পাকাঁ ধান কাটার আগ পর্যন্ত, হাওরের পথে হাজার হাজার কৃষকের পদচারণায় ঘাস- দোবরা পিষ্ট হয় প্রতিনিয়ত। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর নির্ভর করে কৃষকের, চাষাবাদের আয়- ব্যয়ের খরচ। উৎপাদনের পাকাঁ ধানসহ গবাদি পশুর গো-খাদ্য সংগ্রহ করতে হয়, হাওরের জমি হইতে। আর এ সব পূর্ণ এক পরিবহনে আনা হলে খরচের পরিমাণ কম হত। আর যদি একাধিক পরিবহনে আনতে হয়, তাহলে উৎপাদনের চেয়ে খরচের পরিমাণ বেশি হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে কৃষক পড়ে যায় অর্থ সংকটে আর এর প্রভাব পড়ে প্রতিটি কৃষক পরিবারের শিক্ষার্থীদের উপরে, অর্থ সংকট বেশী হলে, থেমে যেতে পারে শিক্ষা গ্রহণ। মেধাবীর জীবন ভাঙা সড়কে থেমে যাবে। এটা শুধু সংযোগ সড়ক নয়, এর জড়িত সার্বিক উন্নয়ন। এমনটা জানান স্থানীয় সচেতন মহলের লোকজন। ক্ষুদ্র বিষয় না বেড়ে, বৃহত্তরের উন্নয়ন রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে, বৈশাখী ফসল পাঁকার আগেই, সংযোগ সড়কসহ রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা জন্য, উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান কৃষকগন। সরকারি টাকা ব্যয় হলেও! জনগণের কল্যানে আসেনি। এতে (১২-১৩)টি গ্রামের কৃষকদের ললাটে হয়েছে দুর্ভোগ । ভুক্তভোগী গ্রাম গুলো হলঃ- তরং, শিবরামপুর, বেতাগড়া, মাটিয়ান,কদমতলী, শ্রীপুর, নয়াবন্দ, তেলীগাঁও, জামালপুর, ভোরাঘাট, কামালপুর ছিলানীপুর, খালাশ্রীপুর, পুটিমারা সহ আরও অনেক গ্রামের কৃষক গন এ রাস্তায় যাতায়াত করে থাকেন। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের মাটিয়ান হাওরের পুটিমারা সংলগ্ন গুংগাজুরী খালের ওপর সেতুটি ১বছর আগে নির্মিত হলেও, সংযোগ সড়ক না থাকায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষক তরং গ্রামের বাবুল মিয়া জানান, চাষাবাদ শুরু থেকে পাঁকা ধান ঘরে উঠানো পর্যন্ত এই সড়কটি একমাত্র চলাচলের মাধ্যম। বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। তাই বাধ্য হয়েই নৌকা কিংবা খেদা পানি ভেঙে যেতে হয় এপার থেকে ওপারে। এটা মেরামতের জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের শুভ দৃষ্টি কামনা করছি। অন্যথায় বৈশাখী পাকাঁ ধান ঘোলায় তুলতে ভোগান্তি পোহাতে হবে আমাদের । কথা হয় কৃষক মাসুক আখঞ্জী’র সাথে তিনি বলেন, সংযোগ সড়ক তৈরি না হলে, কষ্টাজিত সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যয় বার অধিক হারে হয়ে যাবে। এতে আমার মত দরিদ্র কৃষকের জন্য কষ্ট দায়ক হয়ে দাঁড়াবে। এমন কি অর্থ অভাবে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার জীবন বন্ধ হওয়ার সম্ভবনা থাকে । তাই বলছি, জনস্বার্থেঅনতিবিলম্বের বোর ধান পাকাঁর আগেই সংযোগ সড়ক তৈরি করতে হবে। আমি উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই। এ ব্যাপারে, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হায়দার বলেন, কিছু দিনের মধ্যে এ সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করব। এ ব্যাপারে, তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফ উল্লা খান এর কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি পাশকেটে, উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, কে কাজ করেছে? আমি বললাম জানতে পেড়েছি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ব্রীজ নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু সংযোগ সড়ক বিছিন্ন, এসব শোনার পর, বলেন চেয়ারম্যানকে ফোন দেন, আমি মিটিংয়ে আছি,বলেই ফোন কেটে দিলেন তিনি । তাহলে দুর্ভাগা কৃষকের, দুর্ভোগ লাগব হবে কি? এমন জবাবে।