বিশ্বম্ভরপুর কাপনা জালালিয়া মাদ্রাসার সুপারের দুর্নীতি
মাদ্রাসার ভূমি উন্নয়ন কর ১৮ হাজার টাকা, সুপারের ভাউচারে ৫০ হাজার টাকা


স্টাফ রিপোর্টার ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তার রসিদে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ ১৮ হাজার ৬০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। মাদ্রাসার সুপার মোঃ আবুল কাসেম সেই রসিদে আনুসাঙ্গিক খরচ বাবদ ৩১ হাজার ৯ শত ৪০ টাকা যুক্ত করে ৫০ হাজার টাকার হিসাব দেখিয়েছেন। এ রকম ভয়াবহ অনিয়মের চিত্র পাওয়া গেছে বিশ্বম্ভরপুর কাপনা জালালিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। মাদ্রাসার সুপার আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত প্রায় ৩২ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ এখন টক অব দ্যা এরিয়া। এদিকে মাদ্রাসার রেজুলেশনে মরা ডালপালা কর্তন দেখিয়ে বড় একটি পিতরাজ গাছ কেটে তা বিক্রি করে সুপার ও সভাপতি মিলে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন। এসব ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল আছে। অভিযোগ ও ম্যানেজিং কমিটির একটি সুত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার সুপার আবুল কাসেম ১৪১২ বাংলা থেকে ১৪২৯ বাংলা পর্যন্ত মাদ্রাসার ভূমি উন্নয়ন কর ১৮ হাজার ৬০ টাকা স্থানীয় পলাশ ভূমি অফিসে পরিশোধ করেন। তহশীলদার আক্কাছ আলী ভূমি করের একটি রসিদও সুপারের কাছে তুলে দেন। পরে সুপার তহশীলদারের স্বাক্ষরকৃত রসিদের নীচে আনুসাঙ্গিক খরচ ৩১ হাজার ৯শত ৪০ টাকা লিখে কমিটির কাছে ৫০ হাজার টাকা খরচের ভাউচার দেখিয়ে টাকা আত্মসাত করে ফেলেন। এবং মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনের সামনে থাকা ২০ হাজার টাকা মূল্যের গাছ বিক্রি করে টাকা পকেটস্থ করেন। এখানে গাছ কেটে মরা ডালপালা কেটেছেন বলে রেজুলেশন করে টাকা হজম করেন। ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য এ ব্যাপারে অভিযোগ তুললে আমলে নেয়া হয়নি। এর আগেও দুর্নীতির দায়ে সুপারকে ২ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। পরে অঙ্গীকারনামা দিয়ে মাদ্রাসায় আবার যোগদান করেন। পলাশ ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আক্কাছ আলী বলেন, মাদ্রাসার ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ হিসাব করে ১৮ হাজার ৬০ টাকা নেয়া হয়েছে। এবং সুপারকে একটি রসিদ দেয়া হয়েছে। এ রসিদে সুপার যদি অতিরিক্ত কোন টাকা যোগ করেন সেটি ভুল হিসাব। মাদ্রাসার সুপার আবুল কাসেম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফোনে কথা বলা যাবে না। সরাসরি মাদ্রাসায় আসেন কথা হবে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় একটি মিটিংয়ে আছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলব।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ