স্টাফ রিপোর্টার :
সরকার পরিবর্তনের ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও অবৈধ সম্পদের মালিকেরা। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ার্মীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অনেক নেতারা দেশে ও দেশের বাহিরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আবার কেউ কেউ গ্রেফতারও হচ্ছেন। গত ১৬ বছরে জেলার বালু-পাথর মহাল, ড্রেজার ব্যবসা, জলমহাল, কয়লা ও চুনাপাথর ব্যাবসা, ধান-চালের ব্যাবসা, ঠিকাধারী ব্যাবসা, উন্নয়নমুলক কাজসহ বিভিন্ন খাতে নানা অনিয়মের হোতারা কতিপয় বিএনপিনেতাদের উপর ভর করে অভিনব কৌশলে সুনামগঞ্জ শহর ও উপজেলা সদরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের মধ্যে যারা রয়েছেন শিল্পনগরী ছাতক উপজেলার মেয়র আবুল কালাম ও তার ভাই শামিম চৌধুরী, তাহিরপুর বড়ছড়া কয়লা আমদানীকারক গ্রুফের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন খাঁন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাসনাত ও তার ভাই নুর হোসেন, জামালগঞ্জে ১ জন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় রয়েছেন দুই জন। এর মধ্যে একজন ঢাকায় ফাইভ স্টার হোটেল ও সুনামগঞ্জ শহরের আরো দুটি ভবনের মালিক, অপরজন গত ১৬ বছরে নানা অনিয়মের মাধ্যমে কয়ক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য আশরাফুল আলম বলেন, গত ১৬ বছরে যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে এসব রাঘব বোয়ালদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সুষ্ঠু তদন্ত করলেই জেলার ১২ টি উপজেলায় যারা আওয়ামীলীগের দালালী করেছে, লুটপাঠ করেছে, অবৈধ অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছে তাদের তালিকা বেরিয়ে আসবে। যুবদলনেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের আমলে যারা লুটপাট করেছে তাদের মাঝে অনেকেই জেলা সদর ও উপজেলা সদরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। গত ১৬ বছরে যারা সীমাহীন দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের গ্রেফতার ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার দাবী জানাই।
সুনামগঞ্জে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার আমলের রাঘব-বোয়ালরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে
