সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার গুড বুকে ফ্যাসীবাদী আওয়ামীলীগনেতাদের স্বজনরা

স্টাফ রিপোর্টার ঃ সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার গুড বুকে আওয়ামীলীগনেতাদের স্বজনরা। এমনটাই উঠে এসেছে কাবিটা স্কীম প্রনয়ন ও বাস্তবায়নকল্পে জেলা পর্যায়ে গঠিত বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটিতে। প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সহ সভাপতি বিজন সেন রায়, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীমের ছোট ভাই মোঃ ইয়াহিয়া সাজ্জাদ, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান সেলিমের ছোট বোন মোছাঃ নাজনীন বেগম, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোবারক আলীর ছোট ভাই আবু নাসেরকে কাবিটা স্কীম প্রনয়ন ও বাস্তবায়নকল্পে জেলা পর্যায়ে গঠিত বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে। এছাড়াও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’র আহবায়ক না হওয়া স্বত্বেও নুরুর রব চৌধুরীকে এ কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে। জেলায় বিবদমান বেশ কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠন থাকার পরেও শুধুমাত্র একটি প্রেসক্লাবের ৩ জনকে সদস্য করা হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি , অনলাইন প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ফোরাম ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব। ফলে গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু বলেন, বিগতদিনে কাবিটা কমিটিতে ব্যালেন্স করে রাখার হয়েছে। এ বছর সেটা করা হয়নি। সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কুলেন্দ শেখর দাস বলেন, সব সংগঠন থেকে একজন করেই রাখা যেত কিন্ত এক সংগঠনের ৩ জনকে রাখা হয়েছে এটা দুঃখজনক। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা কমিটি’তে যারা গত ১৬ বছর ছিল তাদেরকেও আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি এ কে মিলন বলেন, এক সংগঠন থেকে ৩ জন রেখে বাকী সংগঠনকে বঞ্চিত করা ঠিক হয়নি। রবিবার সকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি’র সভায় দৈনিক সুনামগঞ্জের সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, জিটিভি’র প্রতিনিধি সেলিম আহমদ তালুকদার কাবিটা স্কীম প্রনয়ন ও বাস্তবায়নকল্পে জেলা পর্যায়ে গঠিত বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটিতে ফ্যাসীবাদী আওয়ামীলীগনেতাদের স্বজনদের কমিটিতে সদস্য করার প্রশ্ন তুললে জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, এ বিষয়ে কথা বলার দরকার নেই,কমিটি সংশোধন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ