স্টাফ রিপোর্টার ঃ
শেখ হাসিনাকে কোন দেশ আশ্রয় দেয়নি। কিন্তু ভারত আশ্রয় দিয়েছে। আমরা শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জানাই। ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক ছিনিমিনি খেলেছে, আর খেলতে দেয়া হবে না। একটি চক্র পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। কারা ভারতের মদদ পুষ্ট তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। গণ অভ্যুত্থানের সুফল যেন কেউ ছিনিয়ে নিতে না পাওে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার আলেম সমাজকে দমনপীড়ন করেছে, বাংলার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে গেছে। আন্দোলন ও সফল অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়ে তা একক কোন সংগঠন বা ব্যক্তির নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ কারাগারে পরিণত হয়েছিল। শেখ হাসিনা দেশে মাফিয়াতন্ত্র ফ্যাসিবাদের মাধ্যমে মানুষের মানবাধিকার হরণ করে ছিলো। শেখ হাসিনা দেশে গণহত্যা করেছেন তার বিচার করতে হবে। অভ্যুত্থান কারো একার কোন আন্দোলন নয়। এটি সবার আন্দোলন। এই আন্দোলনের অনেক মায়ের কূল খালি হয়েছে, অনেক বোন ভাই হারিয়েছেন। যারা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে। ইসলামকে বাদ দিয়ে দেশে কোন সংস্কার করা সম্ভব নয়। ইসলাম ধর্মকে মেনে সংস্কার করতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ৫ টি আসনেই জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী দেয়া হবে। গ্রামগঞ্জের মানুষের প্রিয়দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের উদ্দ্যোগে নতুন বাংলাদেশে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে জাতীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মজলুম জননেতা মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল বছির, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফেজ নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয়নেতা মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী। জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রফিক আহমদ উলাশনগরী ও সহকারী মাওলানা মুখতার হোসাইন চৌধুরীর যৌথ ভাবে পরিচালনা করেন।