স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলির ঘটনায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, চারজন সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক-সহ মোট ৯৯ জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জে মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র’র আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের মো. হাফিজ আহমদ। মামলার বাদী ওই গ্রামের মো. নাজির আহমদের ছেলে। এ মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটকে। অন্য আসামীরা হলেন- সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট রনজিত সরকার ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখত, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরীসহ ৯৯জন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাস স্টেশনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বিনা উসকানিতে বাদীর ভাই জহুর আলী ও রিপন মিয়াকে গুলি করে রামদা দিয়ে কুপিয়ে পেট্রোল বোমা ও ককটেল ফাটিয়ে গুরুতর আহত করেন। তারা কেউ স্বশরীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, কেউ হুকুম দিয়েছেন।আহতরা হাসপাতালে আওয়ামী চিকিৎসকগদের অসযোগিতায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন। এসব ঘটনা সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসি- টিভির ভিডিও ফুটেজে সংরক্ষিত রয়েছে। নুরুল হুদা মুকুট সভাপতি ,এম এ মান্নান সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী ,মুহিবুর রহমান মানিক এমপি,রনজিত চন্দ্র সরকার এমপি, নোমান বখত পলিন সাধারণ সম্পাদক ,নাদের বখত মেয়র, খায়রুল হুদা চপল ,রেজাউল করিম শামীম ,মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সালেক মিয়া ,রাজন কুমার দাস এ এসপি খালেদ চৌধুরী ওসি। রিয়াজ আহমদ, মঞ্জুর খন্দকার শংকর চন্দ্র দাস,রেজাউল আলম নিক্কু, হাজী আবুল কালাম , এহসান উজ্জ্বল, অমল কর প্রদীপ রায় রিগ্যান, আফতাব উদ্দিন, আব্দুল কদ্দুছ, ফরিদ আহমদ ইমন, সুয়েব আহমদ জুবের আহমদ অপু, দীপংকর কান্তি দে,আশিকুর রহমান রিপন, আল আমিন রহমান ফজলে রাব্বি স্মরণ, সজিব রঞ্জন দাস, লিখন আহমেদ, জিসান এনায়েত রেজা আহসান জামিল আনাস, লুৎফুর রহমান লিটন, জহির আলী , রনজিত চৌধুরী রাজন, জনি হোসেন, হাসানুজ্জামান ইস্পাহানি, ফজলুল হক ফরহাদ, সাজন আহমদ, আবিদুর রহমান, তারেক, নিরব, মেহের আনোয়ার মিয়া, আনোয়ার হোসেন আন, হাসনাত হোসেন, নূর হোসেন ভাইস চেয়ারম্যান, ফয়সল আহমদ, নুরুল ইসলাম, সামিয়ান তাজুল , ফারুক মিয়া, মিলন খান চেয়ারম্যান , রাসেল আহমেদ চেয়ারম্যান, রতন মিয়া, ফারুক, আহমেদ সুজন, বাবুল মিয়া, আবুল মিয়া, উকিল শাহ, ওয়বাদুর রহমান কুবাদ, লিটন সরকার, নুরুল ইসলাম বজলু, নুরুল ইসলাম, আবুল হোসেন খান, কামাল হোসেন, জগলু মিয়া, ইকবাল হোসেন রিমন, জাওয়াদ, সাইদুল, পলাশ, শাহরিয়ার নিহান, শিহাব, প্রিন্স রাজা, মিতুল, মুকুল, মাহির হোসেন, মসিবুর, মিজানুর রহমান, মোস্তাক আহমদ,জমিরুল ইসলাম পৌরব, তুষার, মহিম তালুকদার, অয়ন তাওসিফ, ছলিম উদ্দিন, সাহারুল আলম, মুসাহিদ পিএস, শিমন চৌধুরী, আব্দুল কদ্দুছ খুরশিদ, এবাদুর রহমান কুবাদ. শাহরিয়ার হোসেন, জিকির আলী প্রমুখ।