ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদের মালিক এম এ মান্নানের পিএস হাসনাত


উপজেলা প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার : সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপির ব্যক্তিগত সহকারি এর আপন ছোট ভাই নুর হোসেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দায়িত্ব পালনের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, ভূমি(কমিশনার) কর্মকর্তার কার্যালয়, সমবায় অফিস, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে একক প্রভাব বিস্তার করেছিলে। গত কিছুদিন পূর্বে হাসনাত হোসেন মন্ত্রীর প্রভাব দেখিয়ে তাহাদের বাপ-দাদাদের জমির মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ডুংরিয়া-ঘরোয়া বাজার-হাঁসকুড়ি ও ডালমাসিয়া গ্রাম নামক প্রকল্পের মাধ্যমে নিজে উদ্ভোধন করে কাজ শুরু করেছেন। উক্ত রাস্তার পার্শ্ববর্তী ৫০০ গজ পশ্চিমে শান্তিগঞ্জ রজনীগঞ্জ রাস্তা থাকলেও সরকারি অসাধু কর্মকর্তারা দুই ভাইয়ের প্রভাবে রাস্তাটি বাস্তবায়ন করছেন। শান্তিগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম যেমন দুর্বাকান্দা, শ্যামনগর, উলারভিটা গ্রাম এখনো হাওরের মধ্যে পড়ে আছে। যেখানে চলাচল বর্ষায় নৌকা, হেমন্তে পা দিয়ে চলাচল করতে হয়। সেখানে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি ও তার ভাই অহেতুক রাস্তা নির্মাণ করে নিজের বাপ দাদাদের পৈত্রিক জমির দাম বাড়াতে সরকারের ১৫ কোটি টাকা অপব্যায় করছেন। হাসনাত হোসেন তার নিজ নিয়ন্ত্রনে সুনামগঞ্জ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল কাদির জিলানী, সাবেক মন্ত্রীর ভাগিনা জাবেদ হোসেন, কৃষকলীগ নেতা মইনুল ইসলাম, আফরোজ মিয়া, সিন্ডিকেট বাহিনী গড়ে তুলেছেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সিলেট সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহা সড়কে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নির্মাণে করলা কর্পোরেশনের ১৫টি পাকা ব্রীজের মধ্যে ৯টি ব্রীজে বালি, পাথর ও সিমেন্ট সাপ্লই বানিজ্য করছেন। বর্তমানে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনিউস্টিটিউটের নির্মাণ কাজে ভিট মাটি, বালি, পাথর ও রড সাপ্লাই বানিজ্য, দিরাই-মদনপুর পয়েন্টে সুনামগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের নির্মাণ কাজে ভিট মাটি, বালি, পাথর ও রড সাপ্লাই বানিজ্য, শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিট মাটি, বালি, পাথর ও রড সাপ্লাই বানিজ্য, প্রতিবৎসর ৩০-৪০ কোটি টাকা মুল্যে শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মান ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মান কাজে সিন্ডিকেট বানিজ্য(কৃষকদের মাধ্যমে পিআইসি গঠন করে কাজ প্রভাব খাটিয়ে ভাগিয়ে নেয়া), তাদের প্রভাবের কাছে নত না হলে প্রশাসনের কাছে বিল আটকে দেয়া। পরিকল্পনা মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি হাসনাত হোসেনের ডান হাত সুনামগঞ্জ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক কামরুল ইসলাম শিপন এসব সিন্ডিকেট বানিজ্য করে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। কামরুল ইসলাম শিপন ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করলেও হাইস্কুলে ভর্তি হতে পারেননি। সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা ফজলে রাব্বী স্বরণের হাত ধরে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ৭নং সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়ে রাজনীনিতে বেপরোয়া হয়ে উঠে। এসময় সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা ফজলে রাব্বী স্বরণের মা শাহানা রাব্বানী সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি থাকা কালে কামরুল ইসলাম শিপন শিবপুর গ্রামে রাস্তা নির্মাণের ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এনে পুরোটাই উত্তোলন করে লুটপাঠ করে নেয়। এবিষয়ে গ্রামবাসী প্রতিবাদী হলে তাহাদেরকে মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখিতে পরিকল্পনা মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি হাসনাত হোসেন কামরুল ইসলাম শিপনের একহাত নেন। গত জানুয়ারী/২০২২ মাসে হাসনাত হোসেনের ডান হাত সঙ্গী কামরুল ইসলাম শিপন এসকল সিন্ডিকেটের টাকার ভোগ ভাটোয়ারা পাচার করে লন্ডনে পাচার করে স্বপরিবারে স্থায়ী হওয়ার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছে। এমনকি লন্ডনে বসেও সিন্ডিকেট বানিজ্যে তৎপর রয়েছেন। পরে পরিকল্পনা মন্ত্রীর উন্নয়ন রাস্তাটি কাজ শেষ করা হয়। বর্তমানে ২৬ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মানাধীন শান্তিগঞ্জ রজনীগঞ্জ সড়কে মাটি, বালি, পাথর ও রড সাপ্লাই বানিজ্য করে যাচ্ছেন।বর্তমানে হাসনাত হোসেন এসবল সিন্ডিকেটের লোকজনদের নিয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্থ রয়েছেন। চলবে

নিউজটি শেয়ার করুনঃ