স্টাফ রিপোর্টার ঃ
গত ৪ আগস্ট জামালগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলা,মারধোর ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাঁধা প্রদান করার ঘটনায় ১৬ জনের নামউল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ মোট ৭৬ জনকে আসামী জামালগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৫ আগস্ট বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি দায়ের করারা পরই নথিভুক্ত করেছে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ। জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করীম শামিমকে এ মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন রেজাউল করীম শামিমের ভাই এহসানুল হক পারভেজ, শামীমের ছেলে বাবু, পারভেজের ছেলে ফাহিম , নয়াহালট গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে আব্দু জাহির, আব্দু জাহিরের ছেলে রাহাত, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হেকি মাহমুদপুর গ্রামের মিসবাহ উদ্দিন, কামলাবাজের লাল মামুদের ছেলে মিছির আলী, উত্তর কামলাবাজের জামিল মিয়ার ছেলে তোফাজ্জুল, কামলাবাজ গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে খুরর্শিদ আলী, ফলকের বসির মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন, মোবারক আলী, মৃত করম আলীর ছেলে ইমরান, জাফর মিয়ার ছেলে রুবেল, মোবারক আলীর ছেলে মাসুক, লম্বাবাকের মুসলিম মিয়ার ছেলে নাজমুল। নয়াহালট গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে মামলার বাদী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম এজহারে উল্লেখ করেন গত ৪ আগস্ট জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে শান্তিপুর্ন মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদে যাওয়ার পথে উপজেলা পশু হাসপাতালের সামনে যেতে না যেতেই দা,রামদা, এমনকি পিস্তল নিয়ে ছাত্রদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে আওয়ামীলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। আহত অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও তারা হামলা করে। পরে পল্লি চিকিৎসকের সেবা নেন। জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার দাশ বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংগঠক মামলা করেন। এ মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৭৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নেয়া হয়েছে। আসামীরা পলাতক, গ্রেফতারের চেষ্ঠা অব্যাহত আছে।