স্টাফ রিপোর্টার:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সবুজ কান্তি দাস এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন।
বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে হত্যাযজ্ঞের সূচনা করেছিল, একেবারে শেষ দিকে এসে পরাজয়ের আগমুহূর্তে তা রূপ নেয় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে। পাকিস্তানি সামরিক জান্তা তখন তাদের এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় বেছে বেছে হত্যা করেছিল জাতির অগ্রণী শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের। এসব হত্যার কারণটি স্পষ্ট, পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা চেয়েছিল স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়া দেশটিকে মেধায়-মননে পঙ্গু করে দিতে।
তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পিত ঘটনার সঙ্গে এ দেশেরই কিছু মানুষ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী শক্তি রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যদের সক্রিয় সহযোগিতার কারণেই এতটা ব্যাপক ও পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালানো সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এই বাহিনীগুলোর সদস্যরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুদ্ধিজীবীদের উঠিয়ে এনেছেন; তুলে দিয়েছেন পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেরাই হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করেছেন। তবে ১৪ ডিসেম্বর প্রতিবছর শ্রদ্ধার সাথে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছি, তারা আমাদের হৃদয়ে থাকবেন সবসময়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট চাঁন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নজরুল ইসলাম সেফু, সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস, আসাদুজ্জামান সেন্টু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হাছান শাহীন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মফিজুল হক মফিজ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুভ বণিক, সদস্য সাজ্জাদ হোসেন নাহিদ, এটিএম শাহীন রেজা, অ্যাডভোকেট আব্দুল ওদুদ, মো. শাহারুল আলম আফজল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি ঝন্টু তালুকদার, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইফতি বখত, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপ্ত দাস তন্ময় প্রমুখ।