স্টাফরির্পোটার:
বিএনপির ডাকা কর্মসুচিতে সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের মদনপুর এলাকায় ব্যাপক গড়ি ভাঙ্গচূড় করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। বুধবার সকালে ঝটিকা মিছিল করে নেতাকর্মীরা মদনপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি যানবাহনে ইটপাটেল নিক্ষেপ করে। এসময় নেতাকর্মীরা সর্বাত্মক অবরোধ পালনের আহ্বান জানান সাধারণ জনগনের কাছে। মিছিলের এ পর্যায়ে নেতা কর্মীরা সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনে হামলা করে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বিেেক্ষাভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন মিলন ও সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল। বিএনপির ঝটিকা মিছিলের এক পর্যায়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে গাড়িতে হামলা ও ভাঙ্গচূড় করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা যাত্রীবাহী মিনিবাস পিকআপে লাঠি দিয়ে আঘাত করে ও ব্যাপক ভাবে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অনেক গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙ্গে যায় ও সিলেট সুনামগঞ্জ দিরাই রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় উপস্হিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আনিসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম কামরুল, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মোনাজ্জির হোসেন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মমিনুল হক কালারচান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারন সম্পাদক মোঃ তারেক মিয়া প্রমুখ। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম নুরুল সমাবেশে তিনি বলেন, অবৈধ হাসিনার সরকার পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধী দল ও মতের মানুষের উপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। শতশত নেতাকর্মীকে মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করছে। সাধারণ মানুষের আন্দোলন সংগ্রামের পথ গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। জালিম হাসিনা সরকার আগামীতে একটি রাতের ভোটের আয়োজন করতে চাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগন আগামীতে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া শেখ হাসিনার অধীনে দলীয় কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেনা। দলের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃণমুল নেতাকর্মীদের একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। পুলিশের মতো পেটোয়া বাহিনী দিয়ে আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেবনা হাসিনা সরকার। ইতিমধ্যে সরকার আর্ন্তজাতিক ভাবে এক ঘরে হয়ে পড়েছে। সরকারের দলের নেতাকর্মীরা হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করে বিদেশে সম্পদের পাহার গড়ে তুলেছে। সরকার দলীয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা সাধারণ মানুষের পকেট থেকে লুটপাট করছে। সরকারের অনিয়ম দূর্নীতির কোন বিচার হাসিনার সরকার করতে পারেনা। অথচ বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা জনগণের অধিকার নিয়ে কথা রাজপথে আন্দোলন করতে চাইলে পেঠোয়া বাহিনী পুলিশ দিয়ে তা দমন করে। আওয়ামীলীগের সঙ্গে এখন পুলিশ ছাড়া আর কেউ নেই দেশের জনগণ আওয়ামীলীগকে অনেক আগেই লাল কার্ড দেখিয়েছে। সরকার এখন মামলা হামলা করে ক্ষমতায় থাকতে চায় তা এদেশের ষোল কোটি মানুষ কখনো হতে দেবে না। আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসুচিতে জনগনকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তারা আরো বলেন এই অবৈধ সরকার যতই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর দমন পীড়ন করুক না কেন জালিম সরকারের পতন না ঘটানো পর্যন্ত রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় থাকবে।