পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটি। এমন কলঙ্কজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই- পলিন
স্টাফ রিপোর্টার::
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জাতীয় চার নেতার স্মরণে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় পৌর শহরের রমিজ বিপনীস্থ দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই জতীয় চার নেতা ও বঙ্গবন্ধুর আত্মার প্রতি মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. পীর মতিউর রহমান। জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. বিমান কান্তি রায়ের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটি। এমন কলঙ্কজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড চান মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক জিতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, যুবলীগ নেতা রনজিত চৌধুরী রাজন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড মাহবুবুল হাসান শাহিন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড স্বপন রায় সপু, আইন বিষয়ক সম্পাদক আজাদুল ইসলাম রতন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কল্লোল তালুকদার চপল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুভ বনিক, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড আবুল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাজ্জাদ হুসেন নাহিদ, শাহিন রেজা, সদস্য শাহারুল আলম আফজাল, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুহেব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমেদ অপু, সহ সভাপতি ঝন্টু তালুকদার, জেলা ছাত্রলীগের উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তন্ময় দাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৫ই আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যার পরবর্তী তিন মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।