স্টাফ রিপোর্টার ঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে মানহানির অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনে বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বুধবার সিলেট সাইবার ট্রাইইব্যুনালে এই মামলা দায়ের করেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সুনামগঞ্জ-১ আসনে মনোয়ন প্রত্যাশী সেলিম আহমেদ। মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন তাহিরপুর উপজেলার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আপ্তাব উদ্দিন (৩৮), মো. আব্দুর রাজ্জাক পাভেল, তানভির হাসান সাগরসহ তাহিরপুর উপজেলার উপজেলার চান মিয়ার ছেলে নুরুল আমীন নিরব, উসমান গনির ছেলে সবুজ আহমদ জয়, আব্দুস শহীদের ছেলে সজল সিদ্দিকী, ধর্মপাশা উপজেলার আব্দুল মনাফের (মনা) ছেলে মো. লিটন আহমেদ শান্ত, হাজী মাসুদের ছেলে তানভীর হাসান সাগর, আব্দুর রশিদের ছেলে হারুন মিয়া, বসন্ত সরকারের ছেলে লেলিন সরকার, মৃত জ্যোতিষ চন্দ্র সরকারের (ভানু মাস্টার) ছেলে বিদ্যুৎ সরকার। এছাড়াও মামলায় আরও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সেলিম আহমদ উেেল্লখ করেন, ‘আমি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়মী লীগের একজন সদস্য এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসন হতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী । জাতীয় শ্রমিক লীগ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে নিজেকে সুনামগঞ্জ জেলার সর্বোচ্চ করদাতা উল্লেখ করে সেলিম আহমদ মামলায় উল্লেখ করেন, সংসদীয় এলাকা তাহিরপুর, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলা এলাকার সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করছেন তিনি। জনকল্যাণমূলক কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে আসামিগণসহ আরও অজ্ঞাতনামা আসামিগণ সর্বসাধারণের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য প্রতিহিংসা বশতঃ ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে সম্মানহানিসহ এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা মানহানিকর তথ্য শেয়ার, লাইক, পোস্ট ও কমেন্ট এর মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে় দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামিগনসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ হতে যাতে তিনি মনোনয়ন না পান, সেজন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জনপ্রিয়তা নষ্ট করার লক্ষ্যে তাঁর ও তাঁর পরিবার সম্পর্কে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট ও প্রচার করেছে। এ কারণে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা চরমভাবে অবনতি হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। সেলিম আহমদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজিব মিত্র জানান, সাইবার ট্রাইব্যুনাল সেলিমের অভিযোগ আমলে নিয়ে তাহিরপুর থানার ওসিকে তদন্তের জন্য আদেশ দিয়েছেন। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বললেন, ‘সাইবার ট্রাইব্যুনালে সেলিম আহমদ এ ধরণের একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন শুনেছি। এখনও আমাদের কাছে কোনো কাগজ আসেনি।