স্টাফ রিপোর্টার :
চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে তাহিরপুরে মোর্শেদ আলম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহ¯পতিবার দিবাগত ভোর রাত ৩টায় তাহিরপুরের লাউরেরগড় সীমান্তের সাহিদাবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করে তাহিরপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মোর্শেদ উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান মোদেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিনের ছেলে। মামলার অভিযোগে প্রকাশ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি পূরণ না করায় দুটি ¯পীডবোড যোগে ১৪ থেকে ১৫ জনের সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় তাহিরপুরের সংসার হাওরের জেটি থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ব্যবসায়ীসহ তিন ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে এসে রাতভর শারীরিক নির্যাতন, প্যাডে, সাদা কাগজে স্বাক্ষর আদায় করে। বিষয়টি জানাজানি হলে এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়ে উঠায় অপহরণকারী গ্রপের সদস্যরা ব্যবসায়ীসহ তিন ব্যক্তিকে বৃহ¯পতিবার ভোররাতে জিম্মিদশা থেকে ছেড়ে দেয়। এরপর তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার এর নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল মোর্শেদকে আটক লাউড়ের গড় সাহিদাবাদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার হাসন নগর এলাকার মৃত রাজা মিয়ার পুত্র ওলিউর রহমান বাদী হয়ে মোর্শেদ ও তার অপর তিন সহোদরসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৭ থেকে ৮ জনকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পরপরই সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি ও সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের নির্দেশে পুলিশের কয়েকটি টিম আসামীদের গ্রেফতারে রাতভর সাড়াশী অভিযানে নামে এবং এক পর্যায়ে আটক করতে সক্ষম হয়। এদিকে মোর্শেদের পারিবারিক সুত্রে দাবী করা হয় ঘটনা চাঁদাবাজি ও অপহরণ নয়। তাদের মধ্যে অংশীদারী ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল।