স্টাফ রিপোর্টার:
ডলুরা শুল্ক স্টেশন চালুর বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ মে সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ চেম্বার কমার্স অব এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মিস্টার পিএন সিয়াম ভাওয়ালের রাজা, মিস্টার কে এন সিয়াম চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ মেঘালয়, রপ্তানি কারক আব্দুল সুলতান আনসার। আলোচনা কালে ভারতীয় রপ্তানিকারক গন বলেন ভারত থেকে পণ্য সামগ্রী রপ্তানির জন্য সড়ক কাস্টমস ভবণ সহ সব কিছু স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়ীদের সম্মতি পেলে ভারত যেকোনো সময় কয়লা চুনাপাথর ফলমূল সহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্লাস্টিক সামগ্রী ও কৃষিজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে গ্রেটার মেঘালয়ে। এদিক থেকে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পণ্য ভারতে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্বল্প দূরত্বের এই রুট ব্যবহার করে পণ্য সামগ্রী আমদানি রপ্তানি করলে কম দামে উভয় দেশের মানুষ কম দামে পণ্য সামগ্রী কেনাবেচা করতে পারবেন। আমদানি কারক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল হক বলেন, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর শুল্ক স্টেশনে পণ্য আমদানি করতে আমদানি কারকরা পরিবহনের জন্য মোটা দাগে অর্থগুণতে হয়। প্রথমে সড়ক পথে কয়লা চুনাপাথর এনে ডা¤িপং করতে হয় পরে দীর্ঘ নৌপথ পারি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য সরবরাহ করতে হয়। এতে আমদানি কারকরা ক্ষতিগ্রস্থ হন। এছাড়া পণ্য পরিবহনের সময় ট্রাক থেকে ও নৌযান থেকে চুরি হয়ে যায়৷ এতে আমদানি কারক ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েন। সারা বছর নৌপথ সচল না থাকার কারণে বছরের ৩/৪ মাস পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খায়রুল হুদা চপল বলেন, ১৯৯৯ সালে ডলুরা শুল্ক স্টেশন চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্য আমদানিকারক গণ ডলুরা এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। সে সময় তারা সেখানে একটি পূর্ণাংগ স্থল বন্দর চালুর পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন। তৎকালীন সময় সিলেট কাস্টমস এর দুইজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার অসহযোগিতার কারণে এটি আলোর মুখ দেখেনি। অথচ এই শুল্ক স্টেশন চালু করা হলে হাজার হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থনের সুযোগ হবে। এলাকার মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে। আলোচনা সভা শেষে প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসনের সংগে সৌজন্য স্বাক্ষাত করে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র হস্থান্তর করেন। এসময় জেলা প্রশাসক বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আলোচনা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
ডলুরা শুল্ক স্টেশন চালুর চেম্বারে সংগে মেঘালয় চেম্বারে নেতৃবৃন্দের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত
