ছাতক প্রতিনিধি::
ছাতকে পৌর যুবলীগের সাধারণ স¤পাদক আবদুল কদ্দুছ শিপলুর হাতে ছুরিকাঘাতে লায়েক মিয়া (৪৫) নামের এক পৌর যুবলীগ কর্মী খুন হয়েছেন। এ ঘটনা নিয়ে উপজেলাজুড়েই ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। ঘটনাস্থল এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার রাখা হয়েছে। তিনি ছাতক পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের মন্ডলীভোগ গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে। গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে থানা সংলগ্ন সুরমা নদীর গনেশপুর খেয়াঘাট এলাকায় একটি চা স্টলে বসে চা পান করছিলেন উপজেলা যুবলীগ কর্মী লায়েক মিয়া। এসময় লায়েক মিয়াকে অতর্কিত ভাবে কয়েক দফায় ছুরিকাঘাত করেছে ছাতকে পৌর যুবলীগের সাধারন স¤পাদক ও প্রতিষ্টাতা সভাপিত বঙ্গবন্ধু ছাত্র পিরষদ ছাতক উপজেলা, আবদুল কদ্দুছ শিপলুসহ তার সহযোগিরা। এ ঘটনা ঘিটয়ে খুনিরা থানার সামনে দিয়ে সুরমা নদী দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন সন্ত্রাসী খুনিদেরকে মোবাইল চোর চোর বলে ধাওয়া করলেও আটক করতে পারেন। জানা যায়, ছাতক পৌরশহরের মন্ডলীভোগ এলাকার লাল মসিজদ কিমট নিয়ে লায়েক মিয়া ও একই গ্রামের তাজ উদ্দিনের ছেলে আবদুল কদ্দুছ শিপলুর পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত লায়েক মিয়াকে উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা অবনতি দেখে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মন্ডলীভোগ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এব্যাপারে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাঁন মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এ ঘটনায় থানা পুলিশ ছাতক বাজার থেকে এরশাদ ও তাজ উদ্দিনসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।