স্টাফ রিপোর্টার::
মধ্যনগরে শেষ হয়নি বাঁধের কাজ, সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও অসমাপ্ত আছে অনেক প্রকল্প। কৃষকরা তুলেছে অনিয়মের অভিযোগ,এখনো হয়নি বাঁধের দুর্বা ঘাস লাগানো। এখনো অস¤পন্ন অধিকাংশ বাঁধের মেরামতের ধরমুজ দেয়া ড্রেসিং করা। নির্ধারিত সময় সিমার ১৭ দিন অতিবাহিত হওয়ায় দেখা দিয়েছে কৃষকের মনে শঙ্কা। জানা যায়, মধ্যনগর ৪৮টি প্রকল্প রাজনৈতিক বিভিন্ন নেতাদের তদবিরের ফলে, প্রকল্প পিআইসি কমিটি নেওয়ায়, তাদের খেয়াল খুশি মতো কাজ করছে বলে গুঞ্জনের অভিযোগ উঠেছে। ২ নং পিআইসি দিলন তালুকদার বালু দিয়ে বাঁধের মেরামতের কাজ করায় কৃষকরা তুলেছে অভিযোগ, এবং ৬ নং পিআইসি বাঁধের গোড়া থেকে মাটি উত্তোলনেরও অভিযোগ তুলেছে একাধিক কৃষকরা। তারা বলেন, নদীতে জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলের ধাক্কায় নদীর গর্ভ ভরপুর হওয়ার পর, বাঁধে ফাটল বা শুরুং হওয়ার আশংকা থাকে, ফলে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হ’য়ে পরে । ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারি বাঁধের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও, ১৫ মার্চ মাসেও অনেক প্রকল্প অসমাপ্ত রয়েগেছে। তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, হাওরের পানি নামতে বিলম্ব হওয়ায় নীচু স্থানের মাটির অভাবে, পিআইসিরা সময় মতো কাজ শেষ করতে না পারায়, আরও ৭ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে। এখন বাঁধের ¯ে¬াপে দুর্বা ঘাস লাগানোর কাজ চলছে, সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কোনো বাঁধে এখনো ঘাস লাগানো শুরুই করেনি পিআইসিরা। মধ্যনগরে ৪৮টি প্রকল্পের মধ্যে প্রায় ২৩টি ক্লোজার এর মাটি ভরাট ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এবং গুড়মা প্রকল্পের ২৮ নম্বর পিআইসির প্রকল্প সহ ৩৮ টি প্রকল্পের কাজ স¤পন্ন হয়েছে বলে কৃষক ও পিআইসি সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) (২০২২-২৩) অর্থ বছরে অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতের আওতায় সুনামগঞ্জ জেলাধীন পাউবোর নীতিমালা লঙ্ঘন করে, কিছু সংখ্যক সাবেক বাঁধের উঁচু মাটি ভ্যাকো মেশিন দিয়ে আচরায়ে ওই মাটির সাথে বালু মাটি মিশ্রিত করে ভরাট করে বাঁধ নির্মান করারও অভিযোগ রয়েছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, গুড়মা ও কাইল্যানী হাওরের একাধিক পিআইসি অভিযোগ করে বলেন, নেতাদের মাধ্যমে আমরা প্রতিটি প্রকল্প টাকার বিনিময়ে পিআইসি কমিটি পেয়েছি, এজন্য আমাদের লোকসান গুনতে হবে । অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়ে পানি উন্নয়ন পাউবোর মনিটরিং টেক অফিসার সানু আহমেদ বলেন, ইতিমধ্যে বাঁধের কাজ শেষ পর্যায়ে এখন শুধু ঘাস লাগানো চলছে, এরমধ্যে ৪২নং পিআইসি’র’ রুপন বিশ্বাস কাজের গাফিলতির অভিযোগ থাকায় তার বিরুদ্ধে আইনি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২ নং ও ৬ নং প্রকল্পের কাজে অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমি প্রতিদিন মনিটরিং করছি। যেখানেই অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি তাতক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। এরি মধ্য মাটি ভরাট স¤পন্ন হয়েছে, এখন ঘাস লাগানো ও পানি দেওয়া হচ্ছে। বাঁধের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।