তানভীর আহমেদঃ
শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমাতে প্রতি বছর উপবৃত্তি দেয় সরকার। অথচ এখন পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলার ১৪টির অধিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত হয়নি। না হওয়ায় উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস গুলো তা শিকার করতে চায় না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ১৩৪ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতি বছরেই নিজ নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তির তালিকা তৈরি করে অনলাইনে জমা দিতে হয়। কিন্তু উপজেলার তাহিরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ইউনুছপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,শান্তিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,সাধেরখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,মাটিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,হাপানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনভোজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দুধের আউটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগন আবেদন পর্যন্ত করেনি। এতে করে প্রায় ৫হাজারের অধিক শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বেশি হবে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস গুলো তা স্বীকার করেনি। এসব বিদ্যালয় উপবৃত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্তর জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে জেলা অফিসে। এ নিয়ে সচেতন মহলে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তারা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীরা ঘরবন্দি থাকার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যন্ত। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র অনলাইনে জমা করা হয়নি উপবৃত্তি কার্যালয়ে। যার ফলে উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হলো। এর দায় কে নেবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন দায়িত্বহীনতা কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না। অভিভাবক সাজিদ মিয়া,আমিন উদ্দিনসহ অন্যান্যরা বলেন, এ পরিস্থিতিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এর বিরূপ প্রভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী সঙ্কটে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বাদ পড়ায় প্রতিষ্ঠানের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ও শিক্ষা অফিসে দায়িত্বহীনতাকেই দায়ী করেন তারা। এই বিষয়ে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে তারা জানান,নেটওয়ার্ক সমস্যাসহ নানা সমস্যার কথা জানান। তারা সম্প্রতি আবেদন করেছেন উপবৃত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে। তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আবুল খায়ের জানান,যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপবৃত্তির তালিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে তাদের তালিকা ভুক্তির আবেদন জেলা অফিসের মাধ্যমে ঢাকা অফিসে পাঠানো হয়েছে।বাদ পড়া বিদ্যালয় গুলো আবারও তালিকা ভুক্ত হবে বলে তিনি জানান।তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির জানান, এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কেন এমন হল তা খতিয়ে দেখব।