বিশ্বম্ভপুরে প্রভাবশালীদের বাধায় বিআইডব্লিউটি এর ইজারাদার ক্ষতিগ্রস্ত

স্টাফ রিপোর্টার::
স্থানীয় প্রভাবশালীদের পরোক্ষ বাধার কারণে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রক্তি ও আবুয়া নদীর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটি এর ইজারাদার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। ঘাটে থাকা লোকজনের সংগে কথা স্থানীয় ইউপি সদস্য আয়না মিয়া, সম্ভু মিয়া ও মুহিবুর সহ ২০ জনের একটি প্রভাবশালী চক্রের মদদে এই রুটে চলাচল কারী বালি পাথর বহনকারী ছোট বড় নৌযান শুল্ক ও বার্দিং না দিয়ে চলাচল করায় প্রতিদিন ইজারাদারের লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। ঘাটে শুল্ক আদায়কারী সুমন মিয়া জানায়, এই রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট মাল পরিবহন করে শতাধিক নৌকা চলাচল করে। তাদের কাছে বিআইডব্লিউটি এর নির্ধারিত শুল্ক রশিদের মাধ্যমে আদায় করতে চাইলে নৌকার মাঝিরা টাকা না দিয়ে চলাচল করে। মোশাহিদ মিয়া জানান, ঘাটের লোকজন ফুলভরি,ফতেহপুর পিরিজপুর নিয়ামতপুর কাটাখালি এলাকার নৌকার মাঝির টাকা না দিয়ে জোরপূর্বক চলে যায়। এতে ইজারাদার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। শাহ আলম জানান এসব গ্রামের ৩০ জনের একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ইজারাদার ও বিআইডব্লিউটিএ কে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। মোবারক হোসেন জানান, আমরা সরকারের ঘরে সাড়ে পাচ কোটি টাকা জমা দিয়ে ঘাট ইজারা এনেছি। এখন প্রভাবশালীদের বাধার কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছি। প্রতিদিন ৫০/৬০ বড় নৌকা গায়ের জোরে প্রভাব খাটিয়ে শুল্ক বার্দিং এর টাকা জমা না দিয়ে চলাচল করে। অথচ চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত সরকার আমাদের শুল্ক আদায়ের অনুমতি দিয়েছে। বিআইডব্লিউটি এর সুনামগঞ্জ নৌ বন্দর কর্মকর্তা সুব্রত রায় বলেন, এবিষয়ে ইজারাদার তাদের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। এতে বিআইডব্লিউটিএ ও সরকার কে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। বিশ্বম্ভপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদি উর রহিম জাদিদ জানান, বিআইডব্লিউটিএ শুল্ক বাদিং আদায় করতে কোন বাধা নেই। অভিযুক্তরা অভিযোগ অস্বীকার করেন। শুল্ক ও বাদিং আদায়ে তারা কোন বাধা বিঘœ করছেন না। ইজারাদার এর লোকজন তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ