স্টাফ রিপোর্টার
সরকার পতনের পর মন্ত্রী-এমপি অনেকেই আটক হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু সুনামগঞ্জ -৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক প্রকাশ্যেই সুনামগঞ্জ ও ঢাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এমন দাবী তার স্বজনদের। জানাযায়, ড. সাদিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী খুনি হাসিনার আস্তাভাজন লোক হিসেবে পরিচিত । আর একারনেই তাকে ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে অন্যতম আয়োজনকারী হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে নিয়োজিত করেছিলেন। পরবর্তীতে থাকে পিএসসি’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন নিয়ে একতরফা নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। সাবেক এ আমলা পিএসসি’র চেয়ারম্যান থাকাকালে তার জেঠালী’র মেয়ে ভাষা’র স্বামী খন্দকার মোদাচ্ছির বিন আলীকে চাকুরী দেন। সে বর্তমানে গাজীপুরে এডিসি হিসেবে কর্মরত আছে। এছাড়াও বামপন্থী সাবেক এ আমলার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর মাওলানা তোফায়েল আহমদ খাঁন বলেন, শুধু ড. সাদিক নয়, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে যারাই অনিয়ম, দুর্নীতি করেছে তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ড. সাদিক তো ২০১৪ সালে ভোট চুরির নির্বাচনে শেখ হাসিনার আস্তাভাজন হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন। কাজেই ভোট চুরির দায় এড়াবার কোন সুযোগ নেই। জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি আবুল মুনসুর মোহাম্মদ শওকত বলেন, অবৈধ নির্বাচন পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী আগেও বলেছি, এখও দাবী জানাই। সুনামগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সংগঠক জানান, সাবেক পিএসসি’র চেয়ারম্যান ও নির্বাচন কমিশন সচিব ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের অন্যতম কুশিলব ড. সাদিক। তিনি ভোটচোরদের একজন আয়োজনকারী তাকে বিচারের আওয়তায় নিয়ে আসার দাবী জানাই। এ ব্যাপারে ড. মোহাম্মদ সাদিকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি ।