দোয়ারা থানা পুলিশের নামে চাঁদা আদায় করছেন চেয়ারম্যান মিলনের শ্যালকরা


স্টাফ রিপোর্টার ঃ
দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাগানবাড়ী বর্ডার হাট থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার বোগলা বাজারে দোয়ারা থানা পুলিশে নামে টাকা আদায় চাঁদা আদায় করছেন চেয়ারম্যান মিলনের শ্যালকরা। জানাযায়, সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বর্ডার হাট থেকে ভারতীয় পেয়াজ, চিনি, ফলমুল ও কসমেটিক্স অটোরিকসা, টেলাগাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে আনা হয়। আর এসব পণ্য ডিআই ট্রাক ও ডিস্ট্রিক ট্রাকের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হয়। প্রতি হাটের বিপুল পরিমান পণ্য নিয়ে পরিবহনে নিয়ে যাওয়ার পথে বোগলা বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলনের শ্যালকরা বড় ট্রাক হতে ৫ হাজার, ছোট ট্রাক হতে ৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন। বোগলা বাজারের একাধিক ব্যবসাীয়রা জানান, প্রকাশ্যে দিবালোক চাঁদা আদায় করা হয়। আইনপ্রয়োগকারী গোয়েন্দা তদন্ত করলেই প্রমান পেয়ে যাবেন কারা চাঁদা উঠায়। চেয়ারম্যান প্রভাবশালী। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। আমরা চাই পথে পথে চাঁদাবাজী বন্ধ করা হোক। প্রতি হাটের প্রায় লক্ষাধিক টাকা ইউপি চেয়ারম্যান তার শ্যালক, নিজে ও অন্যান্যদের মাঝে ভাগবাটোয়ার করে থাকন। চাঁদা আদায় করেন চেয়ারম্যান মিলনের শ্যালক রাকিব, তুষার, ইমরান। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মিলন খান বলেন, বিষয়টি সঠিক নয়। আমার কোন স্বজন চাঁদা আদায় করেনা। দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বদরুল হাসান বলেন, আমাদের নামে যদি কেউ টাকা উঠায় তাহলে তদন্তপুর্বক আইনানুগ ব্যাবস্থা নেব।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ