স্টাফ রিপোর্টার ঃ
জেলার ৩ টি বর্ডার হাট দিয়ে শুল্ক আদায় করছে না কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ। বর্ডার হাট ও সিমান্ত এলাকার বিভিন্ন স্পটে কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই আমদানী করা হচ্ছে বিপুল পরিমান চিনি, পেয়াজ ও কসমেটিক্স জাতীয় পণ্য। এসব পন্য প্রতি রাতেই ডিআ্ই ট্রাক, ডিস্ট্রিক ট্রাকে পাচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাস্টম বিভাগ শুল্ক আদায় না করলেও প্রতিটি হাটেই ন্যাম প্লেইট গেইট অতিক্রম করেই ডানে কিংবা বামে বসে থাকে জেলা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিস এবং ছাতক সার্কেল অফিসের কর্মকর্তারা। তারা ভারতীয় আমদানীকৃত পণ্যের শুল্ক আদায় না করে কোন ব্যবসায়ী কত টাকার মাল আমদানী করেছেন তালিকা তৈরি করেন। আর এ তালিকা অনুয়ায়ী স্পিড মানি আদায় করছেন অসাধু কর্মকর্তারা । এ টাকাই স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে সমন্বয় করে ভাগিয়ে নেন তারা। এভাবে জেলার ডলুরা ও শাহিদাবাদ বর্ডার হাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ, সুনামগঞ্জ। এদিকে জেলা দোয়ারাবাজার উপজেলার (রিংকু) বাগানবাড়ী বর্ডার হাট থেকে টাকা আদায় করছেন ছাতক কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল। সীমান্ত হাটের পরিচালনার জন্য চুক্তিপত্রে ৫০ জন কার্ডধারী ভ্যান্ডর থাকার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। হাটের ৫ কিলোমিটারের ভিতরের কার্ডধারী বাসিন্ধাদের হাটে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটাও মানা হচ্ছে না। কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ, সুনামগঞ্জ এর সহকারী কমিশনার আল আমিন মাহমুদ আশরাফ জানান, বর্ডার হাটের বিষয়টি আমার অধিনে নয়, সরাসরি কাস্টমস ডিভিশনের অধিনে। তাহলে আপনার অফিসের কর্মকর্তাদের প্রতি হাটে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় কেন? উত্তরে তিনি বলেন ডিভিশনের নির্দেশে লোক পাঠাতে হয়। কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল ছাতক এর রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল কবীর বলেন, আমাদের অফিসের কর্মকর্তারা প্রতি বৃহস্পতিবারে হাটে আমদানীকৃত ভারতীয় পণ্য যাচাই-বাঁচাই করে থাকেন। টাকা আদায়ের বিষয়টি সঠিক নয়।