স্টাফ রিপোর্টার::
মরিচের বা¤পার ফলন হয়েছে। গাছ থেকে কাঁচা মরিচ তুলতে এবং বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ১২টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৭০৮ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাষ হয়েছে ১৭২৬ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৮ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। এখান থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদন হবে। যার বাজারমূল্য ৪৫ কোটি টাকা। কৃষকরা জানান, মরিচের বা¤পার ফলন হওয়ায় তারা লাভবান হতে পারবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এমন ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মরিচ তুলে বস্তাবন্দি করেন তারা। সেই মরিচ পাইকাররা ৪ হাজার ৩০০ টাকা মণ বাজারদরে কিনে নিচ্ছেন। জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ভাতেরটেক গ্রামের নুরুল মিয়া বলেন, এবার ২ একর জমিতে মরিচ চাষ করেছি। মরিচের ফলনে আমি খুশি। এরই মধ্যে ২ লাখ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি। এবার বাজারদরও ভালো। আরও আড়াই লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবো। একই গ্রামের তারিসলাম, আরিফ মিয়া, নয়ন মিয়াসহ জেলার ১২টি উপজেলার ১০ হাজার কৃষক মরিচ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে তাহিরপুর উপজেলায়। হেলেনা বেগম বলেন, কষ্ট করে মরিচ চাষ করে এ বছর লাভের মুখ দেখে খুব আনন্দ লাগছে। কৃষক আবুল মিয়া বলেন, এ বছর জেলার ১০ হাজার কৃষক মরিচ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। পাশাপাশি বাজারদর ভালো পাচ্ছেন। সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার মরিচ চাষে বা¤পার ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজারে কাঁচা মরিচের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।