স্টাফ রিপোর্টার::
ধর্মপাশায় গৌর কিশোর দাস নামে এক ভূমিহীনের দখলে থাকা সরকারিভাবে বন্দোবস্তকৃত ফসলী জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের কুর্শিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী গৌর কিশোর দাস বাদী হয়ে একই গ্রামের বজলু মিয়া ও পার্শ্ববর্তী বেরিকান্দি গ্রামের রতন মিয়ার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে এ লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার কুর্শিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা গৌর কিশোর দাস গত ২০০০ সালে কুর্শিবাড়ি মৌজাস্থ ৩৫৯ ও ২৭৬ দাগে থাকা ১ একর খাস জমি সরকারিভাবে বন্দোবস্ত নিয়ে সেখানে তিনি চাষাবাদ করে আসছিলেন। এ অবস্থায় মঙ্গল সকালে এলাকার প্রভাবশালী লোক হিসেবে পরিচিত বজলু মিয়া ও রতন মিয়া নামে দুই ব্যক্তি অন্যত্র মাটি বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নিরীহ গৌর কিশোর দাসের দখলে থাকা উক্ত বন্দোবস্তকৃত জমিতে জোরপূর্বক ৩টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে সেখান থেকে মাটি উত্তোলণ করা শুরু করেন। এসময় ভুক্তভোগী গৌরি কিশোর দাস ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে মাটি উত্তোলনে বাধা দিলে তারা তাকে উল্টো হুমকি দেন। পরে নিরুপায় হয়ে ওই দিন বিকেলে তিনি বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রতন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েই সেখান থেকে মাটি উত্তোলন করছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবাল বলেন, ওই স্থান থেকে মাটি কাটার জন্য আমি উপজেলা প্রশাসনের কাছে তাদের জন্য সুপারিশ করেছি মাত্র। অনুমতি দেওয়া না দেওয়া উপজেলা প্রশাসনের ব্যাপার। তবে সেখান থেকে মাটি উত্তোলনের অনুমিত দেওয়ার আমার কোনো ক্ষমতা নেই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমি ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে ড্রেজার মেশিন বন্ধ করে দিয়েছি। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যদি সেখান থেকে আবারো মাটি উত্তোলন করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধর্মপাশায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে জোরপূর্বক মাটি বিক্রির অভিযোগ
