স্টাফ রিপোর্টার::
মরমী কবি ও দার্শনিক হাছন রাজার গানের মর্মবানী মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে তাঁর শততম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও লোক সংগীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় হাছন রাজার জীবন দর্শন ও কর্ম নিয়ে বিদগ্ধজনরা বিস্তর আলোচনা করেন। পরে লোক সংগীত সন্ধ্যায় হাছন উদাসের গান গেয়ে মঞ্চ মাতান স্থানীয় সংগীত শিপ্লীরা। গভীর রাত পর্যন্ত সুনামগঞ্জ ও সিলেটের খ্যাতিমান শিল্পীরা হাছন রাজার গান পরিবেশন করে মঞ্চ মাতিয়ে তুলেন তারা। গত শুক্রবার রাতে সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য যাদুঘর মঞ্চে হাছন রাজার জনপ্রিয় গানের সংগে লোক নৃত্য পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে লোক সংগীত সন্ধ্যার শুভ সুচনা হয়। পরে একের পর এক দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমি ও সরকারি শিশু পরিবারের শিশু শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার পরে শুরু হয় একক গান। গানে গানে হাছন রাজার জীবন নিয়ে আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি হাছন রাজার প্রপৌত্র সামারিন দেওয়ান। হাছন রাজা পরিষদের সাধারণ স¯পাদক দেওয়ান তাছাদ্দুক রাজা ইমনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় হাছন গবেষক রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক অধ্যাপক রওসন আলম মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন হাছন রাজা তার গান ও জীবন দর্শনের মধ্যে দিয়ে মহাকাল পর্যন্ত বেচে থাকবেন। স্থানীয় আলোচকগণ হাছন রাজার স্মৃতি রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান। যাদুঘর স্থাপনের জন্য সরকারি সহযোগিতার কথা বলেন। আলোচনা সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রজত কান্তি সোম মানস, হাছন রাজা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ, অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্ণেল অতাউর রহমান পীর, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্টার জামিল চৌধুরী, যুক্তরাস্ট্র মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মুকিত চৌধুরী, শামসুল আবেদীন, প্রদীপ পাল নিতাই, মলয় চক্রবর্তী রাজু প্রমুখ। বিদগ্ধ জনেরা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর সিলেটের রামপাশায় জন্মগ্রহণ করেন ও ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যু বরণ করেন। তিনি সুনামগঞ্জের লক্ষ্মণশ্রী পরগনার জমিদার ছিলেন। এদিকে হাছন রাজা মৃত্যু শতবার্ষিকি উদযাপন পরিষদের আহবায়ক অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদের সম্পাদনায় দুইটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।