স্টাফ রিপোর্টার ঃ
সুনামগঞ্জের সাবেক এমপিদের পিএসদের মাঝে শীর্ষ ধনী সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রী’র পিএস মোঃ হাসনাত হোসেন। সে শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সাবেক এমপি এম এ মান্নানের পিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসেন হাসনাত। গত ১৬ বছরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটসহ উপজেলা পরিষদের অবকাঠামো নির্মানে ভুমি অধিগ্রহনের ক্ষেত্রে অভিনব কৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় দুর্নীতিবাজ হাসনাত। এছাড়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজসহ বেশ কিছু স্থাপনার মাটি ভরাটের নামে রমরমা বানিজ্য, নিয়োগ বানিজ্যসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান, হাসনাত যত টাকার মালিক সুনামগঞ্জের বাকী ৪ এমপিদেরও অত টাকা নাই। সাবেক এমপি এম এ মান্নানের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করেছে। সুনামগঞ্জ-০৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এই আসন থেকে ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করে আসেন। সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপির ব্যক্তিগত সহকারি, একই গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবেশী মোঃ হাসনাত হোসেন দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী সরকারের মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালনে ব্যস্থ থাকার সুবাদে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি হাসনাত হোসেন মন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকান্ডে সিন্ডিকেট বাণিজ্য, উপজেলা প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার, জলমহাল সিন্ডিকেট বানিজ্য, পানি উন্নয়ন বোর্ডে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সিন্ডিকেট বানিজ্য, টিআর কাবিখা বাণিজ্য, খাদ্য গোদামে ধান চাল বাণিজ্য, ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনী বাণিজ্য, ভোট বানিজ্য, থানাকে প্রভাবিত করে সিন্ডিকেট বাণিজ্য, ভূমি সিন্ডিকেট বাণিজ্য সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে এ উপজেলার সাধারণ মানুষকে মন্ত্রীর উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করে আসছে। এহেন কর্মকান্ডে কেউ প্রতিবাদী হলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রাণী সহ চাঁদাবাজীর মামলার ভয় দেখিয়ে নিভৃত করে যাচ্ছেন। সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপির ব্যক্তিগত সহকারি এর আপন ছোট ভাই নুর হোসেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার বর্তমান উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব পালনের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, সহকারি কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার কার্যালয়ে একক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। গত কিছুদিন পূর্বে হাসনাত হোসেন মন্ত্রীর প্রভাব দেখিয়ে তাহাদের বাপ-দাদাদের জমির মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ডুংরিয়া-ঘরোয়া বাজার-হাঁসকুড়ি ও ডালমাসিয়া গ্রাম নামক প্রকল্পের মাধ্যমে নিজে উদ্ভোধন করে কাজ শুরু করেছেন। উক্ত রাস্তার পার্শ্ববর্তী ৫০০ গজ পশ্চিমে শান্তিগঞ্জ রজনীগঞ্জ রাস্তা থাকলেও সরকারি অসাধু কর্মকর্তারা দুই ভাইয়ের প্রভাবে রাস্তাটি বাস্তবায়ন করছেন। শান্তিগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম যেমন দুর্বাকান্দা, শ্যামনগর, উলারভিটা গ্রাম এখনো হাওরের মধ্যে পড়ে আছে। যেখানে চলাচল বর্ষায় নৌকা, হেমন্তে পা দিয়ে চলাচল করতে হয়। সেখানে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি ও তার ভাই অহেতুক রাস্তা নির্মাণ করে নিজের বাপ দাদাদের পৈত্রিক জমির দাম বাড়াতে সরকারের ১৫ কোটি টাকা অপব্যায় করছেন। অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে হাসনাতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনিয়ম দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেন। চলবে..