সামর্থ্য অনুযায়ী শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান- পলিন

কম্বল পেল ১০০০ জন।

স্টাফ রিপোর্টার::
দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে ও বসুন্ধরা শুভসংঘের সহায়তায় সুনামগঞ্জের যাতায়াতে দুর্গম তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয়ের খাসিয়া সীমান্ত সংলগ্ন বারেক টিলা, যাদুকাটা নদীপাড়ের বাসিন্দা, বড়ছড়া শুল্কস্টেশন এলাকা ও বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কম্বল বিতরণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন।

রবিবার সকালে উপজেলার বারেকটিলায় অবস্থিত বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল প্রাঙ্গনে ৫০০ কম্বল ও বিকেলে বড়ছড়া শুল্কস্টেশন মাঠে ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়। এদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের দুই শতাধিক লোকও ছিল।

বারেকটিলার বাসিন্দা সোমা সাংমা (৬২) বলেন, সমতল থেকে পাঁচ শ ফুট উঁচুতে আমাদের ঘর। মেঘালয় পাহাড়ের সাথে হওয়ায় এখানে অনেক শীত। বাড়ির কাছেই কম্বল পাঠিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের। আমরা অনেক খুশি।

একই এলাকার সতিকা মারাক (৬৩) বলেন, খুব শীত। কম্বলটায় আমাকে অনেক আরাম দিবে। যাদুকাটা তীরের বাসিন্দা আমেনা বেগম (৭২) বলেন, বাবা এইখানে কেউ কিছু লইয়া আহে না। বসুন্ধরার জন্য আমরা অনেক দোয়া করি।

বড়ছড়া শুল্কস্টেশন এলাকার বাসিন্দা জনি বেগম (৬৫) বলেন, এত কষ্ট কইরা আমরার লাগি কম্বল নিয়া আইছো বাবারা। তোমরার লাগি দোয়া করি। বসুন্ধরার মালিকরা সুখে থাকুক।

এসব আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হাছান শাহীন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুভ বণিক, সদস্য সাজ্জাদ হোসেন নাহিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সুয়েব চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার লিটন, কালের কণ্ঠের সিনিয়র সহ সম্পাদক ও শুভসংঘ পরিচালক জাকারিয়া জামান, মোকশেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য কাঞ্চু, নিউজ টুয়েন্টি ফোরের জেলা প্রতিনিধি বোরহান উদ্দিন, তাহিরপুর উপজেলা শুভসংঘের উপদেষ্টা গোলাম সরোয়ার লিটন, জেলা ছাত্রলীগের উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপ্ত দাস তন্ময় প্রমুখ।

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এই মহতী উদ্যোগের কারণে দরিদ্ররা উপকৃত হচ্ছে। বসুন্ধরার মতো সমাজের বিত্তবানরাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। মহতী উদ্যোগের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ