তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ-
তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের ৫ম শ্রেণী পড়–য়া ১৩ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় স্কুলছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত ধর্ষক উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মাড়ালা গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে রেজাউল মিয়া (২৬)। জানাযায়, সে সরকারের লোকাল গভর্ণমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ( লজিক) প্রকল্পে ইউনিয়ন ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে কাজ করে। গত মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে তাহিরপুর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাড়ালা গ্রামের জৈনক এক ব্যক্তির মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়–য়া স্কুলছাত্রী। গত সপ্তাহে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলে বাবা তার মেয়েকে সিলেট নিয়ে ডাক্তার দেখান। ডাক্তার দেখে কিছু মেডিকেল টেষ্ট করাতে বলেন, টেষ্ট করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের সরনাপন্ন হন। ডাক্তার বলেন আপনার মেয়ে ৫ মাসের অন্তসত্তা। তখন মেয়েকে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলে আনুমানিক চলতি বছরের ১০জানুয়ারি বিকালে বসত বাড়ির দক্ষিণ দিকে আহাম্মক খালি ফিসারিতে মাছ দেখতে যায়। মাছ দেখে বাড়িতে ফেরার পথে রেজাউল মিয়া তাকে জোর করে তুলে নিয়ে বসত ঘরের দক্ষিণ দিকে করছ গাছের বাগানের ভিতর নিয়ে জোর পুর্বকভাবে ধর্ষন করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে স্কুলছাত্রীকে প্রাননাশের হুমকি দেয় রেজাউল। স্কুলছাত্রীর বাবা কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, রেজাউলের ভাই একজন প্রভাবশালী ইউপি মেম্বার মিয়া হুসেনকে বিষয়টি অবগত করলে সে কোন কর্নপাত করেনি। উল্টো রেজাউল মিয়া আমাকে প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করেন। আমি কোন উপায় না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমার মেয়ের সাথে অন্যায়কারীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি। এ বিষয়ে অভিযোক্ত রেজাউল মিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ধর্ষণের বিষয়টি স¤পূর্ণ মিথ্যা ও পরিবারক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি মেয়েটিকে ভালো ভাবে চিনিনা। সে অনেক ছোট মেয়ে তার সাথে কোন দিন দেখাও হয়নি। এই অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, মেয়েটির বাবা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আমরা তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।