তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ-
তাহিরপুরে ১টি গরু, দোকানের থান কাপড়, সেলাই মেশি, হাস-মুরগী ও ঘরের আসবাবপত্রসহ বসত ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়েগেছে। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের বীরনগর গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে দুলাল মিয়ার বসত ঘর পুড়ে ছাই হওয়ার ঘটনাটি ঘটে।পুড়ে ছাই হওয়া ঘরের মালিক দুলাল মিয়া জানান, তিনি বৃহ¯পতিবার রাত্রে তার বউ বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে তাদের দোকানে ঘুমাতে যাওয়ায় তিনি তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসত ঘরে ঘুমায়। আনুমানিক ৩টার দিকে হঠাৎ করে তার পরনের লুঙ্গিতে আগুন লাগায় ঘুম ভাঙে যায়। আগুন দেখে তাৎক্ষণিক আগুন লাগা লুঙ্গি খুলে তার তিন ছেলে মেয়ে সহ পাশে মাটিতে থাকা গরুর বাছুরটি ঘর থেকে বের করেন। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও গোয়াল ঘরে থাকা গরু, দোকানের থান কাপড় ও হাঁস-মুরগি গুলো বের করতে পারেননি। পরে তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে ঘরে থাকা ১টি গরু, লক্ষাধিক টাকার থান কাপড়, সেলাই মেশিন ও ৩০টি হাস-মুরগিসহ ঘরের সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছই হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট গ্রামের ইউপি সদস্য নুরুল হক বলেন, সময় মতে দুলাল মিয়ার ঘুম ভাঙ্গায় তার তিন ছেলে মেয়ে ও গরুর বাছুর টি বাঁচাতে পেরেছে। তবে আগুনে তার আনুমানিক ৭০হাজার টাকার একটি গরু, লক্ষাধিক টাকার থান কাপড়, একটি সেলাই মেশিন, ২২টি রাজহাস যায় আনুমানিক মূল্য ২৫হাজার টাকা, ৮টি মুরগী ও ঘর সহ ঘরের সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন পুড়ে ছাই হওয়া ঘরটি পরিদর্শন করেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান রনি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজী মাসুদুর রহমান ও তাহিরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুনাব আলী। এসময় ইউএনও সুপ্রভাত চাকমা বলেন, আগুনে পরিবারটির সব কিছু পুড়ে ছাই হয়েগেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে শীত নিবারণের জন্য কম্বল দেয়া হয়েছে। তাদের সরকারী ভাবে বিভিন্ন সহযোগীতার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়াও তাদের ছেলে মেয়ের স্কুলের বই সহ যাবতীয় শিক্ষা সামগ্রী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।