সিলেট বিভাগের ৭০০ কি:মিটার নৌপথ সব সময় সচল রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে
—–চেয়ারম্যান বিআইডব্লিউটিএ

স্টাফ রিপোর্টার::
হাওর এলাকার নদ-নদীর পানি প্রবাহ সচল রাখতে ও আগাম বন্যার হাত থেকে হাওরের ফসল রক্ষা করতে বিআইডব্লিউটিএ ও পানি স¤পদ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় করে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় নদী খননের কাজ করবে। হাওর এলাকার নদী খনন ও নদীর নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষনের জন্য স্থায়ীভাবে ড্রেজার বেইজ করা হবে এতে লং বুম এস্কেভেটর সহ আধুনিক খনন মেশিনারিজ থাকবে। হাওর এলাকায় স্থায়ী ভাবে ড্রেজার রাখা হবে। যাতে জরুরি প্রয়োজনে নদী খনন করে সৃষ্ট সমস্যা নিরসন করা যায়। সিলেট অঞ্চলে বি আই ডব্লিউটি এর সেরকম স্বক্ষমতা ছিল না এখন সেই স্বক্ষমতা অর্জন করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে ৩৮ টি আধুনিক ড্রেজার দিয়েছেন আমরা আরও ৩৫ ড্রেজার কেনার প্রকল্প নিয়েছি। জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন নদী মাতৃক বাংলাদেশের চিরচেনা রূপ ফিরিয়ে দিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ উদ্ধার করে দেশবাসীকে উপহার দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার নৌ পথ উদ্ধার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সিলেট বিভাগ পিছিয়ে আছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৭০০ কিলোমিটার নৌপথ নাব্য সংকট দূর করে সব সময় সচল রাখা হবে। হাওর এলাকার নদী খননের মাটি ডাইক করে ফেলা হবে যাতে এগুলো আবার নদীতে না পড়ে। বি আই ডব্লিউটিএ ড্রেজার নদীর তীর থেকে ১ কিলোমিটার দূরে মাটি ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে স্থানীয়দের সহায়তার দরকার তারা যদি ড্রেজ মেটেরিয়াল ফেলার জায়গা করে দেন তাহলে আমরা আরও ভালো ভাবে কাজ করতে পারবো। তিনি বলেন, দেশের নদী খননের জন্য আরও ৩৫ অত্যাধুনিক ড্রেজার মেশিন কেনার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। তিনি আরও বলেন, হাওর এলাকার নদী গুলোতে ৩ থেকে ৪ মিটার পানি যাতে পাওয়া যায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে নদী খননে ধীর গতি থাকবে না। সুনামগঞ্জের নৌ পথ ও নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সবাই মিলে এক সংগে বসে আমরা নদী খননের কাজ করবো। নদী খননের মেশিনারিজ ও অর্থ বরাদ্দ ও জনবল দিয়ে আমাদেরকে সহায়তা করবে। কমোডর গোলাম সাদেক চেয়ারম্যান বি আই ডব্লিউ টিএ। মঙ্গলবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলার সোলেমানপুর এলাকার পাটলাই নদীর নৌকাজট পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন তিনি। পরে তিনি পাটলাই নদীর বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, পরিচালক সাইফুল ইসলাম (বওপ) মহোদয়, প্রধান প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম তালুকদার ড্রেজিং , পরিচালক মো: শাহজাহান, সুব্রত রায় বন্দর কর্মকর্তা। নাব্য সংকটের কারণে দীর্ঘ পাটলাই নদীর ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নৌকা জটের কারণে ১৫ দিন যাবত আটকে থাকা কয়লা ও চুনাপাথরবাহী নৌকার মাঝিরা নানান সমস্যার কথা তুলে ধরেন

নিউজটি শেয়ার করুনঃ