পিএস হাসনাতের জলমহাল সিন্ডিকেট বাণিজ্য


শান্তিগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৫০/৬০টি জলমহাল পরিকল্পনা মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি হাসনাত হোসেনের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এসকল জলমহালে অবাধে চলে মৎস্য নিধন এবং জলমহাল শুকিয়ে মাছের বংশ বিস্তার ধ্বংস করে দিচ্ছে। পরিকল্পনা মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি হাসনাত হোসেন জলমহাল নিয়ন্ত্রনে নিতে প্রত্যক এলাকায় ২/৩টি সমিতি গড়ে তুলেন। এক সমিতির অনুকূলে জলমহাল ইজারা প্রাপ্ত হলে পরবর্তী সমিতি বৈধ সমিতির লোকজনদেরকে বাঁধা দেয়। এতে রক্তপাত সহ মারপিট সংগঠিত হয়। সেই সূত্রধরে পরিকল্পনা মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি হাসনাত হোসেনের আপন ছোট ভাই শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন শালিসকারী হিসাবে সেখানে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিস্পত্তি করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন ও হাসনাত হোসেনের কথা মতো সমিতির লোকজন তাদের দ্বারস্থ হলে তারা তাহাদের পছন্দসই লোকদের মাধ্যমে ৮/১০/১২ আটনা শেয়ার কিনে নেন এবং তাদের নিজ নিজ লাভ্যাংশ বুঝে নিয়ে রাতারাতি শুন্য থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন। বর্তমানে হাসনাত হোসেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পার্শ্বে ১০ কোটি টাকা মুল্যের ৪ তলা ভবনের মালিক। নিজের ব্যাংকে টাকা না থাকলেও তাহার শশুর বাড়ী ছাতক উপজেলার সেওতরপাড়া গ্রামে বউ, শ্যালক, শালিকা ও শাশুড়ীর ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকা পড়ে আছেন।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ