ছাতক প্রতিনিধি
ছাতকে গত ক’দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এখানের সুরমা, পিয়াইন, চেলা নদীসহ সকল নদ নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার ইসলামপুর, উত্তর খুরমা, চরমহল্লা, নোয়ারাই, কালারুকা ও গোবিন্দগঞ্জ সৈয়দেরগাঁও, জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বেশ কিছু অঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এদিকে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করেন। উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসলাম উদ্দিন, উপজেলা ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা আহসান হাবিব, পিআইও মাহবুবুর রহমান। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানাযায়, গত সোমবার (১৯ জুন) রাত ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে এখনও পানি বাড়ছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ মিলিমিটার। প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে ছাতক পয়েন্ট দিয়ে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারতের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে বন্যা হতে পারে। ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এড. সুফি আলম সুহেল এবং নোয়ারাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান পীর আব্দুল খালেক রাজা জানান, সুরমাসহ নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে এখানে প্রবল আকারে বন্যা দেখা দিতে পারে। উপজেলার মধ্যে নোয়ারাই ও ইসলামপুর ইউনিয়নের প্রায় হাজার মানুষের বাড়ীঘরে বন্যায় প্লাবিত করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। সবজি চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের চাপ এই দুইটি ইউনিয়নে বেশী রয়েছে বলে তারা জানান। উত্তর খুরমা ইউনিয়ন, গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন, ছৈলা আফজলাবাদ, ভাতগাঁও, দোলারবাজার, সিংচাপইড়, দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে বলে বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গেছে। ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরের জামান চৌধুরী জানান, সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে পানি আরো বেড়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতিমুলক বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ছাতক পৌরসভা ও ইউনিয়ন এলাকার মানুষদের সতর্কতামূলক পরামর্শও দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।