ছাতক প্রতিনিধি::
ছাতকে উপজেলার ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপিঠ গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়িট লেখাপড়ার মানোন্নয়নে এবারও ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩৮৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এদের মধ্যে এ প্লাস ৪৪ জন, এ ১৬৭ জন, এ মাইনাস ৮৭ জন, বি ৭১ জন ও সি গ্রেডে ১৮ জন পাস করেন। ফলাফলের দিক দিয়ে জেলার মধ্যে তৃতীয় ও ছাতক উপজেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় । পাশের হার শতকরা ৯৪.৮৫ ভাগ পাশ করেছেন। এবারের ফলাফলে ৪৪টি জিপিএ-৫ লাভ ফলাফলে উপজেলার প্রথম স্থানে রেয়ছ। ২৬টি জিপিএ-৫ সহ শতভাগ ফলাফল করে ২য় স্থানে সাউথওয়েষ্ট সালেহ আহমদ স্কুল এন্ড কলেজ। ৭৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সকলেই উত্তির্ন হয়েছে। ছাতক সরকারী বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ২১টি জিপিএ-৫ পেয়ে ৩য় স্থানে রয়েছে। ১৯২ জনের মধ্যে ১৭৪ জন শিক্ষার্থী উত্তির্ন হয়েছে। পাশের হার শতকরা ৯০.৬২ ভাগ। এ বছর ৫ হাজার ২৬৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমান পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪ হাজার ৪৪১ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১৯ জন শিক্ষার্থী। গড় পাশের হার শতকরা ৮২.৩৩ ভাগ। শতভাগ ফলাফল করেছে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসএসসি পরীক্ষায় ৩ হাজার ৯২৫ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৩ হাজার ৩৫৫ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ লাভ করেছে ১৭১ জন শিক্ষার্থী। পাশের হার শতকরা ৮৫.৪৭ ভাগ। সাউথওয়েষ্ট সালেহ আহমদ স্কুল এন্ড কলেজ ও বড়কাপন আটগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় শতভাগ ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া সিসিএফ উচ্চ বিদ্যালয় ১৫টি, চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৪টি, মঈনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ৯টি, পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ৯টি, হাজী আব্দুল খালিক উচ্চ বিদ্যালয় ৮টি, এসপিপিএম উচ্চ বিদ্যালয় ৪টি, নতুনবাজার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ৩টি, সিবিপি উচ্চ বিদ্যালয় ৩টি, মনিরিজ্ঞাতি উচ্চ বিদ্যালয়, চরমহল্লা উচ্চ বিদ্যালয় ও একতা উচ্চ বিদ্যালয় ২টি করে, আলহাজ্ব আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, ছালেহা খাতুন কুর্শি উচ্চ বিদ্যালয়, বুরাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়, খুরমা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝিগলী স্কুল এন্ড কলেজ ও বাংলাবাজার সামারুনেছা স্কুল এন্ড কলেজ ১টি করে জিপিএ-৫ লাভ করেছে। দাখিল পরীক্ষায় ১হাজার ৩০ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৮৪১ জন শিক্ষার্থী। ৩৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ লাভ করেছে। পাশের হার শতকরা ৮১.৬৫ ভাগ। শতভাগ ফলাফল করেছে জাহিদপুর জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা। ১৫টি জিপিএ-৫ লাভ করে দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষে রয়েছে লাখেশ্বর দাখিল মাদ্রাসা। পাশের হার শতকরা ৯২.৫৯ ভাগ। এ ছাড়া বুরাইয়া কামিল মাদ্রাসা ৫টি, গোবিন্দনগর ফাজিল মাদ্রাসা ও খরিদিচর আলিম মাদ্রাসা ৪টি করে, কালারুকা লতিফিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ছাতক জালালিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, শাহ সুফীমোজাম্মেল আলী(রাঃ) দাখিল মাদ্রাসা ও জাহিদপুর জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ২টি করে এবং আল ইখওয়ান বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, পালপুর জালালিয়া আলিম মাদ্রাসা ও নতুনবাজার দাখিল মাদ্রাসা ১টি করে জিপিএ-৫ লাভ করেছ। কারিগরী শিক্ষায় ৩০৮ জনের জনের মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ২৪৬ জন শিক্ষার্থী। ৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ লাভ করেছে। পাশের হার শতকরা ৭৯.৮৭ ভাগ। চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৬ জন শিক্ষার্থী এবং ছাতক সরকারী টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ লাভ করেছে।