ছাতক প্রতিনিধি::
ছাতকে অটোরিকশার সিরিয়েলকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর দু’পক্ষের মধ্যে দেশী অস্ত্র নিয়ে এক ঘন্টাব্যাপি ধাওয়া পাল্টা ও মুখামুখি সংঘর্ষের ঘটনায় মহিলাসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক.রাহেনা বেগম, তোলা মিয়া, দেলায়ার হোসেন, আমির হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, রত্না বেগম, সামছুল হক,তাছিলমা বেগম, জয়মালা বেগম, গোলাপ মিয়া, হোসাইন আহমদ, জুবায়ের আহমদ, মানিক মিয়া, শাহানারা বেগম, খোয়াজ আলী, কামাল আহমদ, জুয়েল মিয়া, সুরুজ আলী, আরব আলীসহ ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের ছাতক ও কৈতক হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ খবর পেয়ে ওসি মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে দু’পক্ষের ১২ জনকে আটক করেছেন। গত শনিবার রাতে উপজেলার পৌর শহরের চরেরবন্দ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানাযায়.গত শনিবার দুজন অটোরিকশা চালকদের মধ্যে সিরিয়াল নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে গ্রামবাসীর দু’পক্ষের উপজেলার পৌর শহরের চরেরবন্দ গ্রামের সাবেক পৌর কমিশনার নওশাদ মিয়া ও একই গ্রামে বাগাই মিয়ার পক্ষের মধ্যে রাত ৮টা থেকে ৯টা ঘন্টাব্যাপি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ও মুখামুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে মহিলাসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। এ সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থেল পৌছে লাঠি চার্জ করে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। পরে পুলিশ পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনে আনতে দু’পক্ষের ১২ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, জাকির হোসেন, আনোয়ার মিয়া, মাহমুদ, কবির হোসেন, নাজির হোসেন, গোলাম রব্বানী,মিজানুর রহমান,এমরান হোসেন,সরদাগর আলী, শফিউল ইসলাম, আজিজুর রহমান ও সুন্দর আলী। এদেরকে রোববার সকালে থানা থেকে পুলিশ ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেন। এব্যাপারে ওসি ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অটোরিকশার সিরিয়েল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সংঘর্ষে ঘটনায় জড়িতদের পুলিশ তাৎক্ষিনক আটক করে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল জোরদার রাখা হয়েছে।