শওকত হাসান, তাহিরপুর ঃ-
তাহিরপুর উপজেলা সদর থেকে জেলা সদর পর্যন্ত একমাত্র সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। গত বছরের বন্যা ও শনির হাওরের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে বিভিন্ন স্থানে গাইডওয়াল ভেঙে ব্লক খসে পড়ে কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই প্রতিরক্ষা দেয়ালসহ ব্লক মেরামত না করা হলে ঢেউয়ের আঘাতে সড়কটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) নির্মিত ৩৬ কিলোমিটার সড়কটি ভেঙে গেলে তাহিরপুর উপজেলার সঙ্গে সড়ক পথে জেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। সরেজমিন দেখা যায়, তাহিরপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশ, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বিপরীত অংশে ও চিকসা থেকে আনোয়ার বাজারে যেতে হাওর পাশের তিন স্থানে ব্লক খসে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া চিকসা-আনোয়ারপুর রাস্তা খনাখন্দে ভরা। অন্যদিকে আনোয়ারপুর- নিয়ামতপুর সড়কটি গত বছরের বন্যায় চলাচলে একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সাবেক বালিজুরী ইউপি সদস্য মিলন তালুকদার বলেন, এক দশক পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে যেতে চাইলে সাচনা বাজার হয়ে লঞ্চযোগে যেতে ৫-৬ ঘণ্টা সময় ব্যয় হতো। সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় শুধু জেলা শহর সুনামগঞ্জ থেকে নয়, দিনের মধ্যে সিলেট থেকে যে কোনো কাজকর্ম সেরে সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে ফেরা যায়। তাহিরপুর সদরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন জানান, তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কটি স্থানে স্থানে ব্লক খসে ভাঙনের মুখে পড়েছে। দ্রুত মেরামত না হলে জেলা সদরের সঙ্গে উপজেলার সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাহিরপুর উপজেলা সদরের ঠাকুর হাটি গ্রামের বাসিন্দা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুব্রত দে জানান, সড়ক পথ না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বছরে একবারও বাড়ি আসতে পারতেন না তিনি। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন, সড়কটি মেরামতের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাসিক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই সড়কটি মেরামত শুরু করা হবে।