স্টাফ রিপোর্টার ঃ
হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড সুনামগঞ্জ সার্ভিসিং সেন্টারের হয়রানীর শিকার বিমা গ্রাহকেরা। গতকাল হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসান নামের একজন অফিস কর্মচারী বসে আছে। নেই কোন কর্মকর্তা। অফিসে প্রায় আধা ঘন্টা অবস্থান কালে দেখা হয় ভুক্তভোগি ১০ জন বিমা গ্রাহকদের সাথে। এ সময় পাথারিয়া ইউনিয়নের আশারচর গ্রামের ছাবিকুন নাহারের বলেন, পাঁচ হাজার চার শত টাকা কিস্তি দিয়ে ৫ বছরের বিমা করেছিলাম, মেয়াদ উর্ত্তীন হয়েছে। একবার শুধু বোনাস ১৬ হাজার দিয়েছিল, পরে আর কোন টাকা দেয়নি। পাথারিয়া এলাকার আশারচর গ্রামের জসি’র স্ত্রী পারহানা বেগম বলেন, আমি বিমার বিপরীতে আটটি কিস্তি দিয়েছে কিন্তু কোন বোনাস দেয়নি। অফিস আসলে দেই দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপন করছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মৃত রশীদ মিয়ার স্ত্রী বলেন, ১০ বছরের বিমা করেছিলাম, সব কিস্তি দিয়েছি কিন্ত আমাকে প্রাপ্য টাকা বা বোনাস কিছুই দেয় নি। জামালগঞ্জ উপজেলার রামনগর জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমার শশুরের নামে একটি বিমার মেয়াদ শেষ হয়েছে ১ বছর হয়, অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে বলে টাকা প্রধান কার্যালয় থেকে আসবে অপেক্ষা করুন। পৌর শহরের ওয়েজখালী এলাকার বাসিন্ধা কোহিনুর জানান, আমার বোন লিপির নামে একটি বিমা ছিল। বোনাস নেয়ার জন্য আসছিলাম কিন্তু অফিসে কাউকে পাইনি। এভাবে প্রতিদিন হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড সুনামগঞ্জ সার্ভিসিং সেন্টারের এসে ভীড় করেন বিমা গ্রাহকেরা। সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন অসংখ্য গ্রাহকেরা। তারা সবাই হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের হয়রানী থেকে মুক্তি চান। হোামল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী সুনামগঞ্জ অফিসের ম্যানেজার এম এ মান্নান বলেন, ২৪ এপ্রিল আমাদের কোম্পানীর বোর্ড মিটিং আছে। মিটিং এর পরে আগামী মাসে গ্রাহকদের টাকা দিয়ে দেবো।