বাগানবাড়ী বর্ডার হাট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চেয়ারম্যান মিলন ও তার সহোদর ভাই ইকবাল


স্টাফ রিপোর্টার ঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাগানবাড়ী বর্ডার হাট । সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার বসে এ হাট। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে ক্রয়-বিক্রয়। কিন্ত এ নীতিমালা অমান্য করে বাগানবাড়ী বর্ডার হাট চলে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে শুক্রবার ভোরবেলা পর্যন্ত। এছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিনি বর্ডার বাজারের আশপাশ দিয়ে ভারতীয় অবৈধ পণ্য আসছে অভিনব কৌশলে। আর বর্ডার বাজারকে পুজি করে কোটিপতি বনে যাচ্ছেন বোগলা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিলন খান ও তার সহোদর ভাই মোঃ ইকবাল খান। বাগানবাড়ী বর্ডারের প্রতি হাটে আসছে ভারতীয় পেয়াজ, চিনি, কসমেটিক্স ও ফলমূল। এ সব পণ্যের প্রতি ক্যারেট ফলমূল থেকে ৮০ টাকা, পেয়াজের প্রতি বস্তা থেকে ১০০ টাকা, চিনি ও কসমেটিক্স থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা আদায় করছে বোগলা ইউপি চেয়ারম্যানে ছোট ভাই ইকবাল ও স্বজন সাজিদ খাঁন, সামস, রাকিবুল হাসান, ইউপি সদস্য উজ্জ্বল। প্রতি হাটেই আসা কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ পণ্য ডিআই ট্রাক দিয়ে দোয়ারাবাজার, ছাতক ও জাওয়া বাজার হয়ে চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। এ কোটি টাকার পণ্য থেকে প্রতি সপ্তাহে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বোগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন খাঁন ও তার সহোদর ভাই ইকবাল খাঁন। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, চেয়ারম্যানের ভাই ইকবাল প্রতি হাটে টাকা নেয়। এছাড়া পথে পথে চাঁদা দিতে হয়। আমরা কস্টে আছি। চেয়ারম্যানের পরিবারের বিরুদ্বে কথা বললে হয়রানী হতে হয়। আমরা চাই চাঁদাবাজী বন্ধ করা হোক। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মিলন খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। আমি এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নই। ইকবাল খান বলেন, নিউজ করলে করেন, এতে আমাদের কিছু যায় আসেনা।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ