মধ্যনগরে পতিত জমিতে তরমুজ চাষে সাফল্য

স্টাফ রিপোর্টার::
মধ্যনগরে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মধ্যনগরে ফলন ভালো হয়েছে। কাঙ্খিত ফলন পেয়ে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হয়েছেন চাষিরা। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে প্রতি বছরের মতো এবারও প্রায় ৩ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। তবে বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে এবারই প্রথম তরমুজের চাষ হয়েছে। বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের বিরসিংহপাড়া গ্রামের কৃষক বজলু মিয়া ৩৩ শতক পতিত জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন। বিক্রি করেছেন প্রায় ১ লাখ টাকার তরমুজ। সফলতার পুরস্কার হিসেবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বজলু মিয়া কে সরকারি খরচে ৩ দিনের উদ্ধুদ্ধকরণ ভ্রমণে দেশের বিভিন্ন কৃষি প্রকল্প পরিদর্শনে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে কৃষক বজলু মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত ৩৩ শতক জমিতে এবারই প্রথম তরমুজ চাষ করি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তরমুজের বীজ, পরিচর্যা বাবদ নগদ টাকা, বিনামূল্যে কীটনাশক ও বিভিন্ন ধরনের সার সহায়তা পেয়েছি। এছাড়া আমি আরও ৮ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি। উৎপাদন ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার হাজার টাকা। উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করে পেয়েছি প্রায় ১ লাখ টাকা। ওই ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকমল হোসেন বলেন, কৃষক বজলু মিয়ার সফলতা দেখে তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক। আশা করি আগামী বছর এই ইউনিয়নে ন্যুনতম ২ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হবে। মধ্যনগর উপজেলার অতিরিক্ত দ্বায়িত্বে থাকা ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পতিত জমিতে উচ্চমূল্যের ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল আবাদে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের পাশাপাশি বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩৩ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। এটি লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় আরও কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আশাকরি আগামী বছর তরমুজের চাষ বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেয়া কারিগরি সহায়তা অব্যহত থাকবে।