স্টাফ রিপোর্টার::
সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ, এমনটি পথচারীদের জানাই আছে। সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধে সেতুর দুইপাশে দেওয়া হয়েছিল বাঁশের বেড়া। সেই বেড়ার অবকাঠামো ভেঙে গেছে। সেতুর অদূরে দক্ষিণে বাঁশের চাটাই দিয়ে রয়েছে পারাপারের বিকল্প ব্যবস্থা। তবুও সময় বাঁচাতে দেবে যাওয়া সেতুর উপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা। সেতুর মাঝখানে দেবে যাওয়া এক অংশ থেকে অন্য অংশে যেতে কেউ লাফিয়ে আবার কেউ রেলিং বেয়ে পার হচ্ছেন সেতু। গত কয়েকদিন ধরে ধর্মপাশা উপজেলা সদর বাজারের মধ্যবর্তী ট্রলারঘাট সংলগ্ন শয়তানখালী খালের উপর দেবে যাওয়া সেতু দিয়ে পথচারী পারাপারের এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। এতে করে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। অর্ধশত বছরের অধিক পুরনো এ সেতু ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দেবে যেতে শুরু করে। তখনই সেতুটির ওপর দিয়ে পথচারী ও যান চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এতে যান চলাচল বন্ধ হলেও সেতুর দুই পাশের ব্যবসা শুরু করেন ভাসমান সবজি ব্যবসায়ীরা। গত বছর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেতুটি আর দেবে গেলে প্রশাসন আবারও বেড়া দিয়ে তা স্থায়ীভাবে তা বন্ধ করে সেতুর দক্ষিণ দিকে বাঁশের চাটাই দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই চাটাই সমতল থেকে কিছুটা ঢালু হওয়া উঠতে নামতে পা পিছলে পড়তে হয় পথচারীদের। অপরদিকে পূর্ব বাজারের সাথে পশ্চিম বাজারের বাণিজ্যিক যোগাযোগে ভাটা পড়ে। পশ্চিম বাজারে ক্রেতা কম আসায় পশ্চিম বাজারের ব্যবসা বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অনেক ব্যবসায়ীকে এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে। বৃহ¯পতিবার ধর্মপাশা বাজারে হাট বসায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। ওইদিন সেতুর উপর দিয়ে চলাচলকারী কয়েকজন পথচারী আক্ষেপ করে জানান, অনেক দূর ঘুরে চাটাই দিয়ে যেতে সময় বেশি লাগে। সময় বাঁচাতেই ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন তারা। এদিকে শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় কংশ আর্ট ও ফেসবুক পেজ চ্যানেল ডিপি’র পক্ষ থেকে সেতুটি ব্যবহার না করার জন্য সেতুর দুই পাশে জনসচেতনতামূলক ব্যানার টানানো হয়েছে। ধর্মপাশা গ্রামের বাসিন্দা সাজিদুল হক বলেন, উপজেলা পরিষদে গেলে প্রায় ১ কিলোমিটার দূর দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। দ্রুত কাজ শুরু হবে- এমন আশ্বাসেই কেটে গেছে দেড় বছর। আর কবে কাজ শুরু হবে? পশ্চিম বাজারের ফার্মেসী ব্যবসায়ী অসিম সিংহ বলেন, ক্রেতাদের বড় একটি অংশ পূর্ব দিক থেকে বাজারে আসে। সেতুটির এমন দশার কারনে পশ্চিম বাজার প্রায় ক্রেতা শূন্য। নলগড়া গ্রামের বাসিন্দা ও কংশ আর্টের প্রধান চিত্রশিল্পী কাজী বর্ণাঢ্য বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুটি ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। তাই জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সেতুর উভয় পাশে ব্যানার টানিয়েছি। উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন বলেন, যতটুকু জানি টেকনিক্যাল অ্যাভুলেশন শেষ পর্যায়ে। সপ্তাহ ১০ দিনের মধ্যে ঠিকাদার কে জানা যাবে। সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, এ সেতুটি নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঠিকাদার চূড়ান্ত করে আগামী মাসের মাঝামাঝি নির্মাণ কাজ শুরু হতে পারে।